বিনা অনুমতিতে বলতে উঠে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে মানিক, ২ মাসের জন্য ফিরলেন জেলে

ফের একবার প্রভাবশালী তত্ত্বে মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করল ইডি। মঙ্গলবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে মানিককে আদালতে পেশ করা হলে এজলাসে একাধিকবার কিছু বলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু বিচারক তাঁকে অনুমতি দেননি।

এদিন আদালতে ইডি বলেন, একচ্ছত্রভাবে সবকিছু দখল করে দুর্নীতি করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। এমনকী বিদেশে বেড়াতে গিয়ে একটা টাকা তোলেননি তিনি। সমস্ত টাকা পাচার করেছেন হাওয়ালার মাধ্যমে। মানিক ভট্টাচার্য এতটাই প্রভাবশালী যে তাকে তার দল এখনও বহিষ্কার করেনি। এদিন মানিককে ভর্ৎসনা করে ইডির আইনজীবী বলেন, মানুষের কাজ তাঁর স্ত্রী – পুত্রকে নিরাপত্তা দেওয়া। মানিক ভট্টাচার্য নিজের স্ত্রী – পুত্রকেও দুর্নীতিতে ব্যবহার করেছেন।

এদিন আদালতে বেশ কিছু নথি নিয়ে ঢোকেন মানিক। শুনানি চলাকালীন তিন বার আদালতে কিছু বলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু প্রতিবার তাঁকে থামিয়ে দেন বিচারক। মানিককে তিনি বলেন, আপনি তো ল’কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। আদালতের বিধি আপনি জানেন না? কিছু বলার থাকলে হাইকোর্টে যান। এই আদালত আপনাকে কোনও কিছু বলার অনুমতি দেয়নি।

এদিন দুপক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক মানিক ভট্টাচার্যকে ২ মাসের জন্য জেলে পাঠিয়েছেন। ১৮ মে ফের মানিককে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।