Consulate vandalism by Pro-Khalistani: দূতাবাসে খলিস্তানিদের তাণ্ডবে US-কে কড়া বার্তা ভারতের, সর্বত্র একই চক্রের হাত?

সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসে খলিস্তান-পন্থীদের ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাল নয়াদিল্লি। ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ তথা মার্কিন চার্জে ডি’অ্যাফেয়ার্স এলিজাবেথ জোনসকে কূটনীতিবিদের ‘সুরক্ষা নিশ্চিত করার মৌলিক বাধ্যবাধকতা’ স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করারও বার্তা দিয়েছে ভারত। তারইমধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে আরও একটি বিষয় নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে অবহিত আধিকারিকদের বক্তব্য, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন এবং আমেরিকায় যে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে, সেগুলির মধ্যে কোনও একটা যোগসূত্র আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

শনিবার রাতে সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে দুটি তাঁবু খাঁটিয়ে ফেলে খলিস্তান-পন্থীরা। আটজন ধরনায় বসে যায় এবং একটি দেওয়াল বিকৃত করে দেয়। রবিবার সকালে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। প্রায় ২০০ জন ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়। স্থানীয় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ভারতীয় দূতাবাসের ভিতরে ঢুকে পড়ে খলিস্তান-পন্থীরা। দুটি খলিস্তানি পতাকাও লাগিয়ে দেয়। ভারতীয় কর্তারা যখন সেই পতাকা খুলে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের হাতে তুলে দেন, তখন কয়েকজন ব্যারিকেড টপকে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালাতে থাকে। দূতাবাসের জানালার কাঁচ চুরমার হয়ে যায়। দরজাও ভাঙার চেষ্টা করা হয়।

সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে ছয়জনকে চিহ্নিত করেছে এবং পুলিশের হাতে তাদের নাম ও ঠিকানা তুলে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ওই ঘটনায় শিরোমণি অকালি দল অমৃতসর, শিখ ফর জাস্টিস এবং শিখ ইউথ অ্যালায়েন্সের হাত আছে। বিশেষত জসজিৎ সিং চেলা এবং ফ্রিমন্ট গুরুদোয়ারার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তারইমধ্যে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মার্কিন কূটনীতিবিদকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Amritpal Singh was raising Khalistani Army: ‘ISI এজেন্ট’ অমৃতপাল তৈরি করছিল নিজের খলিস্তানি সেনা, মানব বোমা স্কোয়াড

সান ফ্রান্সিসকোর সেই ঘটনার মধ্যে রবিবার লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এক বিক্ষোভকারী হাইকমিশনের বারান্দায় উঠে ভারতের জাতীয় পতাকা ছুড়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। দৌড়ে এসে তেরঙার অবমাননা রুখে দেন হাইকমিশনের এক ভারতীয় কর্তা। সেইসঙ্গে ওই বিক্ষোভকারী যে খলিস্তানি পতাকা লাগানোর চেষ্টা করছিল, তা ছুড়ে ফেলে দেন। সেই ঘটনার পরই রবিবার ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশন ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

আরও পড়ুন: তেরঙা ছুড়ে ফেলার চেষ্টা, দৌড়ে বাঁচালেন ভারতীয় কর্তা, ফেললেন খলিস্তানি পতাকা

কেন তাণ্ডব শুরু করেছে খলিস্তান-পন্থীরা?

সম্প্রতি খলিস্তানি-পন্থী নেতা এবং ‘উগ্রপন্থী’ অমৃতপাল সিং এবং তার সহযোগীদের ধরতে যে অভিযান শুরু করেছে, তারপরই লন্ডন এবং সান ফ্রান্সিসকোয় বিক্ষোভ দেখিয়েছে খলিস্তান-পন্থী লোকজন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সম্প্রতি আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় যে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে, তাতে একটি যোগসূত্র আছে। কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার সরকারকেঅস্কড়া বার্তা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজকে তো যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়ে বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)