Job in food department: খাদ্য দফতরে নিয়োগের নামে ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণা, কাঠগড়ায় CPM নেতা

নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের বহু নেতা মন্ত্রীর। তার মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার হয়েছেন। পাশপাশি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বহু শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। এবার খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে। খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। সিপিএমের বাগদা কমিটির যুব সংগঠনের লোকাল কমিটির নেতা সজল ভদ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

জানা গিয়েছে, তন্ময় বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক যুবক সজলের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। গত শনিবার তিনি থানায় এই অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কয়েক মাস আগে তিনি সজলকে খাদ্য দফতরে নিয়োগের জন্য টাকা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি নিয়োগপত্র হাতে পান। খোঁজ খবর নিয়ে তিনি জানতে পান ওই নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এরপরেই তিনি সজল ভদ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং টাকা ফেরত চান। কিন্তু, সেই টাকা ফেরত দিতে রাজি হননি সজল ভদ্র। ঘটনায় গত শনিবার বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবক। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সজল ভদ্র। তিনি পালটা দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দিন কয়েক আগে আমাকে অপহরণ করে টাকা আদায় করা হয়েছিল। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেই কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর আরও দাবি তিনি বামপন্থী দল করেন। তাঁর সঙ্গে শাসকদলের কোনও যোগ নেই। তাই তাঁর টাকা নেওয়ার কোনও যুক্তি নেই।

বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ও সজলের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, অনেকের কাছ থেকে সজল চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন। এলাকায় তিনি সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ। তন্ময় নিজেও তাঁর কাছে মৌখিকভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বলে তিনি দাবি করেছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বাগদা থানার পুলিশ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup