Oral health: মুখের ভিতরের যত্ন না নিলে বাড়তে পারে অনেক রোগ, কী কী করবেন? রইল টিপস

স্বাস্থ্যের কথা যখন ওঠে, তখন আমরা শরীরের বাইরে অঙ্গের প্রতি বেশি যত্নশীল হয়ে থাকি। অতিরিক্ত সময় দিই শরীরের বাইরের সৌন্দর্যকে। লম্বা লম্বা লাইন থাকে পার্লারে। কিন্ত, বাইরের সৌন্দর্য লক্ষ্য রাখতে গিয়ে আমারা ভুলে যাই মুখের যত্ন নিতে।

শিশু হোক কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই একটা ওরাল হেলথ আছে। অথচ যত্ন নেওয়ার প্রক্রিয়া একেবারেই ভিন্ন।শিশুদের আলাদা সমস্যা হয়। আবার, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে আলাদা সমস্যা। তাঁদের চিকিৎসা পদ্ধতিও নিশ্চয় আলাদায় হবে! তাই না? আসুন দেখে নেওয়া যাক কী কী বিষয়ে আপনি সতর্ক হবেন।

আমাদের ওরাল হেলথ গোটা শরীরকে সুস্থ রাখে। ভালো ওরাল হেলথ সকল বয়সের জন্যই প্রয়োজনীয়। সঠিক ওরাল হেলথ না গড়ে তুললে সব বয়সিদের সমস্যায় পড়তে হয়। এর আবার নিয়মগুলো বিভিন্ন বয়সিদের জন্য ভিন্ন হয়। যেমন, একেবারে শিশু, বা ছোট বাচ্চাদের ওরাল হেলথ প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে আলাদা। যত্ন নেওয়ার পদ্ধতিও হয় আলাদা।

ওরাল হেলথ বলতে আমরা বুঝি, দাঁত, জিভ, মাড়ি, গলা, ইত্যাদি। কোনও কারণে এগুলি সংক্রামিত হলে বা খারাপ হলে পুরো শরীরে তার প্রভাব পড়ে। তাই এগুলির যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজন। দাঁতের ক্ষয়, যন্ত্রণা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া এগুলি ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাপার। তার কারণ হল, বাচ্চারা দুবেলা ব্রাশ করে না। খাবারের পর ভালো ভাবে মুখও ধোয় না। ফলে ভুগতে হয় নানা রোগে। বাবা-মার উচিত এই বিষয়ে ছোট থেকে যত্ন নেওয়া। তাদের একটা ভালো অভ্যেস গড়ে তোলা।

বয়স যত বাড়তে থাকে, ওরাল হেলথও পরিবর্তিত হয়। নানান বয়সে নানান সমস্যা। প্রাপ্তবয়স্কদের থাকে নানা রকমের নেশা। তামাক সেবন, মদ্যপান, অতিরিক্ত পান খাওয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যায় দাঁত। দেখা দেয় মাড়ির রোগ। তাহলে কীভাবে যত্ন নেবেন? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

শিশুদের জন্য চিকিৎসকেরা বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়েছেন

শিশুদের জন্য বলা হয়, মা-রা যেন খাওয়ার পর দু’বার নরম কাপড় দিয়ে হাল্কা করে তাঁদের মাড়ি মুছিয়ে দেয়। এতে করে ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ কমে।

যখন আপনার শিশুর দাঁত উঠতে শুরু করবে, তখন দিনে দু’বার ব্রাশ করান। শিশুদের মাড়ি নরম থাকে। তাই ব্যবহার করতে হবে ব্রিস্টেড টুথব্রাশ।

আপনার শিশুর যদি দাঁতের সমস্যা বাড়ে অবশ্যই তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। বয়স যদি ২ বছরের কম হয়, তাহলে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। তবে তার আগে চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।

৬ বছরের কম বয়স হলে যত্ন নিন আলাদা ভাবে। তাঁরা ঠিকঠাক ব্রাশ করছে কিনা লক্ষ্য রাখুন। নিশ্চিত করুন তাঁরা ফ্লোরাইড মেশানো জলেই যেন মুখ ধোয়।

মনে রাখবন, ছোটবেলার গড়ে তোলা অভ্যাসই আপনার শিশুকে আগামী দিনে এক সুন্দর শরীর উপহার দেবে। তাই শিশুকাল থেকেই তাদের ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন।