৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পেটে লাথি মেরে সন্তান হত্যায় অভিযুক্তকে জামিন, গ্রেফতারিতেই সময় লেগেছে ২ বছর

হাত জোড় করে নিষ্কৃতি পেতে চেয়েছিলেন মহিলা। তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। বাড়ির ভিতর হঠাৎ ঢুকে পড়া দুষ্কৃতীরা বাড়ির মালকিনের শ্লীলতাহানি করতে শুরু করে। চোখের জলে কাকুতি মিনতি করতে থাকেন মহিলা। শুধু আর্জি জানান, তাঁকে রেহাই দেওয়ার। তাঁর গর্ভে লালিত সন্তানের দিকে চেয়ে যেন তাঁকে রেহাই দেওয়া হয়। কিন্তু দুষ্কৃতীরা কোনও কথা শোনেনি। সজোরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারে তারা। মারা যায় গর্ভস্থ সন্তান। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর কেটেছে ২ বছর। শেষে জামিনে মুক্তি পেল অভিযুক্তরা।

এই ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের রায়নার। অভিযোগ, সেখানে এক মহিলার পেটে লাথি মেরে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে, এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযুক্তের নাম শেখ সনু ওরফে তাফিজুল ইসলাম। মঙ্গলবার সকালেই তাফিজুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাড়ি থেকেই তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাধবডিহি থানার কামারহাটির এই বাসিন্দার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে এক গর্ভবতী মহিলার পেটে লাথি মেরে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে নষ্ট করার অভিযোগ ছিল। (শুধুমাত্র মার্চ মাসেই গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত ৬ বার ভূমিকম্প! কিছু দিক একনজরে)

ঘটনা ঘিরে নিজেই পুলিশের দ্বারস্থ হন এই মহিলা। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ২০২০ সালের ৬ জুলাই পুলিশ ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে আদালতে। তবে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। সকলেই ‘পলাতক’ বলে জানা যায়। (চিকিৎসার খরচ অনেক, অতিরিক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করে নিজের জীবন শেষ করলেন ২৪ এর যুবক)

( জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘাতে পাক গুপ্তচর বাহিনীর অফিসারের মৃত্যু, গুলির যুদ্ধে আহত বহু)

এদিকে, এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার   আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার পর প্রায় ২ বছর কেটে গিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার সোনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই তাকে আদালতে তোলা হয়। গর্ভবতী মহিলাকে তাঁর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন অবস্থায় পেটে লাথি মারায় অভিযুক্ত তাফিজুল ইসলামকে কোর্ট জামিন দিয়ে দেয়। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup