কাশির ওষুধে ‘বিষ’! নয়ডার সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন

নয়ডা ভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মেরিয়ন বায়োটেকের উৎপাদন লাইসেন্স বাতিল করে দিল উত্তরপ্রদেশ ড্রাগস কন্ট্রোলিং এবং লাইসেন্সিং অথরিটি। বুধবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে যোগী সরকার। উল্লেখ্য, এই সংস্থর তৈরি কাশির সিরাপ ডক-১ খেয়েই উজবেকিস্তানে ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ওই সংস্থার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। এবার পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হল সংস্থার উৎপাদন লাইসেন্স। জানা গিয়েছে, সংস্থার ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের ক্রয় প্রক্রিয়ায় গরমিল পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের ‘নৈতিক জয়’ আদালতে, বড় নির্দেশ হাই কোর্টের)

অভিযোগ, ডক-১ ম্যাক্স নামক ওষুধ খেয়ে সেদেশে পরপর শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই আবহে আমদানিকারক সংস্থা কিউরাম্যাক্সের কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানে। এছাড়া স্টেট সেন্টার ফর এক্সপার্টাইজ অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অফ মেডিসিনের বিরুদ্ধে উজবেকিস্তানের ক্রিমিনাল কোড ১৮৬-৩ ধারায় তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ল্যাব টেস্টের সময় ডক-১ ম্যাক্স নামক সিরাপটিতে রাসায়নিক ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গেছে। এই একই রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণে হরিয়ানার মেডেন ফার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মেডেন ফার্মার ওষুধে এই রাসায়নিক থাকার কারণেই গাম্বিয়াতেও শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: DA ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় কড়া পদক্ষেপ কয়েকশো শিক্ষকের বিরুদ্ধে, কর্মজীবনে পড়বে দাগ

উজবেকিস্তানে ডক-১ ম্যাক্স নামক কাশির সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ ওঠার পরেই শোরগোল পড়ে যায় দেশে। নড়েচড়ে বসেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গুণমান নিয়ন্ত্রক পরীক্ষাগারে কাফ সিরাপের পরীক্ষা করা হয়েছিল। নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ ডাইথিলিন গ্লাইকল এবং অথবা ইথাইলিন গ্লাইকল নামক বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। এই আবহে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল বিস্তারিত তথ্য পেতে উজবেক নিয়ন্ত্রকের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। এদিকে ডক-১ ম্যাক্স নামক এই কাফ সিরাপটি ভারতে বিক্রি হয় না বলে আগেই জানিয়েছিল সংস্থাটি।