না জানিয়ে গরহাজির, অয়ন-ঘনিষ্ঠ শ্বেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে কামারহাটি পুরসভা

কোনও আবেদন না করে সোমবার থেকে অফিসে বেপাত্তা তিনি। তার জেরে অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী শ্বেতা চক্রবর্তীকে শো-কজ করতে চলেছে কামারহাটি পৌরসভা। সেখানেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের পদে কর্মরত শ্বেতা। গত সোমবার ভোরে অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি দফতরে।

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ শ্বেতার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা পাচার হয়েছে বলে দাবি ইডির। এমনকী শ্বেতা ও অয়নের একাধিক যৌথ সম্পত্তি রয়েছে বলে উঠে এসেছে তদন্তে। গত শনিবার বিকেলে চুঁচুড়ায় অয়নকে জেরা শুরু করেন ইডির গোয়েন্দারা। বিকেলে তাঁরা পৌঁছন অয়নের বিধাননগরের দফতরে। সেখানে অয়নের অনুপস্থিতিতেই শুরু হয় তল্লাশি। রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় অয়নকে বিধাননগরে নিয়ে আসা হয়। এর পর গোটা রবিবার বিধাননগরের দফতরে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সোমবার ভোর ৩টে ৪০ মিনিটে অয়নকে গ্রেফতার করে ইডি। তার পর জানা যায়, অয়নের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে শ্বেতা চক্রবর্তী নামে এক অভিনেত্রীর বিলাসবহুল গাড়ির নথি। এর পর ৩৬ ঘণ্টা শ্বেতার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বুধবার দুপুরে নিউ টাউনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শ্বেতা। সেখানে তিনি নির্দোষ বলে দাবি করেন। এমনকী মহিলা বলে তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু নিজের কর্মস্থল কামারহাটি পুরসভায় আর যাননি তিনি।

কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘২০১৯ সালে পুরসভায় কয়েক শ কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। তখনই চাকরি পেয়েছিলেন শ্বেতা। তিনি কারও সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ তিনি জানিয়েছেন, সোমবার থেকে কোনও আগাম তথ্য না দিয়ে শ্বেতা চক্রবর্তী কর্মস্থলে গরহাজির রয়েছেন। এর ফলে তাঁকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। শো – কজের জবাব সন্তোষজনক না বলে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হতে পারে।