পূর্ণেশ মোদীর অভিযোগের ভিত্তিতেই রাহুলের কারাদণ্ডের নির্দেশ, কী তাঁর পরিচয়?

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে গুজরাট আদালত দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। মোদীর নাম সংক্রান্ত ব্যাপারে ২০১৯ সালে তিনি কর্নাটকে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই রাহুলকে কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি জামিন পেয়েছেন। ঠিক কী বলেছিলেন রাহুল?

তিনি কর্নাটকে একটি সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, কেন সব চোরের পদবি মোদী হয়? এরপরই পূর্ণেশ মোদী নামে এক বিজেপি নেতা রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পূর্ণেশ মোদী কে?

গুজরাটের সুরাটে জন্মেছিলেন পূর্ণেশ। তাঁর জন্ম সাল ২২ অক্টেবর ১৯৬৫। তিনি সুরাট পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক। তিনি বিকম ও এলএলবি পাশ করেছিলেন। তিনি পেশায় আইনজীবী । গুজরাট সরকারের একসময়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে বিজেপি এমএলএ কিশোর ভাই দীর্ঘ অসুস্থতার পরে মারা যান। এরপর পূর্ণেশ এখানে ভোটে লড়ার টিকিট পান। এরপর তিনি ভোটে জিতে বিধায়ক হন। পরে ফের তিনি টিকিট পেয়েছেন। ফের তিনি দলের মান রক্ষা করেন। সেবারও জিতে যান তিনি।

২০১৭ সালের ভোটে একেবারে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছিল পূর্ণেশ মোদী। তার প্রতিপক্ষ কংগ্রেসে প্রার্থী পেয়েছিলেন ৩৩ হাজার ৭৩৩ ভোট আর পূর্ণেশ পেয়েছিলেন ১ লাখের বেশি ভোট।

এদিকে ২০১৯সালের লোকসভা ভোটের আগে রাহুল এই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। রাহুল গান্ধী সেই সময় ললিত মোদীর নাম নিয়েছিলেন। তিনি নীরব মোদীর নাম নিয়েছিলেন। একটি সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, সব চোরের পদবি কেন মোদী হয়। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরই পূর্ণেশ মোদী রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। এদিকে শুনানির পরে রাহুল গান্ধীকে দুবছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে যান।

এদিকে রাহুল গান্ধীর কারাদন্ডের নির্দেশকে ঘিরে গোটা দেশ জুড়ে কংগ্রেসের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায় । তবে শেষ পর্যন্ত তিনি অবশ্য জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তবে তিনি জামিন পাওয়ার জেরে অবশেষে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup