দুর্নীতির মাস্টারমশাই পার্থ, আদালতে দাবি ইডির, হেডদিদিমণি কে? প্রশ্ন বিরোধীদের

তাপস মণ্ডল কুন্তলকে নিশানা করে বলেছিলেন ম্য়াজিসিয়ান। তাপস মণ্ডল আবার ফাঁস করেছিলেন কালীঘাটের কাকুর পরিচয়। আর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় সম্পর্কে আদালতে ইডির তরফে জানানো হয়েছে দুর্নীতির মাস্টারমশাই হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার্যত নতুন নতুন বিশেষণ উঠে আসছে রোজ।

আর শুক্রবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে এনিয়ে সওয়াল চলাকালীন এই বিশেষ দাবি করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমশাই। বাকিরা সবাই ছাত্র।

এদিকে বৃহস্পতিবার আদালতে কিছু বলতে চেয়ে সময় চেয়েছিলেন পার্থ। এরপর তিনি কার্যত নিজের ঢাকও কিছুটা পিটিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন তাঁর বংশ পরিচয়ের কথা। তিনি যে ভালো ছাত্র ছিলেন সেটাও জানিয়ে দেন। তবে সেই ভালো ছাত্রকে একেবারে দুর্নীতির মাস্টারমশাই বলে উল্লেখ করল ইডি।

বাস্তবিকই বাংলা যেন একেবারে দুর্নীতির পাঠশালা। ছড়ি হাতে বসে রয়েছেন গুরুমশাই। আর সেই গুরুমশাইয়ের ভূমিকায় খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর চারপাশে গোল হয়ে বসে রয়েছে অন্যরা। সেই তালিকায় ঠিক কারা কারা রয়েছে সেটাই জানার চেষ্টা করছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

এদিকে ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়,মানিক ভট্টাচার্য সহ একঝাঁক নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ সূত্র রয়েছে এমন একাধিক জনের উপর নজর রাখছে ইডি। এদিকে পার্থর বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। তা দেখে হতবাক গোটা বাংলা।

তবে ইতিমধ্য়েই পার্থ অবশ্য় তার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তার দাবি তিনি শুধু মন্ত্রী ছিলেন। তার চাকরি দেওয়ার কোনও ভূমিকা নেই। আবার উলটো দিকে তিনি আবার বাম আমলের উপর দায় চাপাতে চাইছেন। অনেকেই বলছেন গোটা বিষয়টি কার্যত গুলিয়ে দিয়েছেন পার্থ সহ অন্যান্যরা। এদিকে তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই আদালতে জানিয়েছে অন্তহীন সোনার খনির সন্ধান মিলছে। তারা জেলে গিয়েও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে চান। সব মিলিয়ে একেবারে মাকড়সাল জালের মতো দুর্নীতির জাল।

দুর্নীতিকাণ্ডের মাস্টারমশাই পার্থ। কার্যত তিনি যে পথ দেখিয়েছেন সেই পথেই চলেছেন তার ছাত্ররা। একেবারে নির্দিষ্ট চুরির পথ। তৃণমূলের ছাতার তলায় থেকে সেই চুরির পথের দরজা খুলে আলো নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন পার্থ। আর তার পেছনে পেছনে চলেছেন তার ছাত্ররা। অভিযোগ অনেকটা এমনই। তবে সেই দুর্নীতির গুরুমশাই অবশ্য এখন নিজের গা থেকে দুর্নীতির কাদা ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন।

এনিয়ে সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, হেডমাস্টার কে খুঁজে বের করুন। হেড দিদিমণি কে? খুঁজে বের করুন।

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, হেডমাস্টারের খোঁজ মনে হয়ে দ্রুত পাওয়া যাবে।