Calcutta High Court: চাকরি চুরিতে নাম জড়াল শিক্ষকের, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টে

নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের এক স্কুল শিক্ষকের নাম জড়িয়ে পড়ল। এমনকী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে প্রতারিতরা এবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ কোটি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি এই বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন। আর মামলা দায়ের করার অনুমতি চান। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।

কে এই অভিযুক্ত শিক্ষক? পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিচুনিয়া জগন্নাথ বিদ্যামন্দিরের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলেছেন। ২০১৮ সাল থেকে কাউকে গ্রুপ–ডি, কাউকে গ্রুপ–সি, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং নবম–দশমে চাকরি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৫ কোটি টাকা তুলেছেন। কিন্তু একটি চাকরিও হয়নি। তাই এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন প্রতারিতরা। আর পুলিশের বদলে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করার আর্জি জানানো হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই আগেই শাহিদ ইমাম নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করে। তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক হিসাবে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন শাহিদ। তাঁকে নামে স্কুলেই দেখা যেত না। অথচ সেই স্কুল শিক্ষক শাহিদের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রীর গানের ভিডিয়ো রয়েছে। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের এই স্কুল শিক্ষকের নামেও কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা। যা নিয়ে অনেকেই বলছেন, শিক্ষক তোলাবাজ।

কেন কলকাতা হাইকোর্টে আসতে হল?‌ প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, এই ঘটনা নিয়ে একাধিকবার পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং সাহস বেড়ে গিয়েছিল এই স্কুল শিক্ষকের। বিচুনিয়া জগন্নাথ বিদ্যামন্দিরের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে এবার সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।