সাংসদপদ খারিজ করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। গতকালই গুজরাটের আদালতের তরফে রাহুলকে দুই বছরের সাজা শোনানো হয়েছিল। এই আবহে আজ লোকসভার সচিবালয়ের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকালই সকালে গুজরাটের সুরাট জেলার দায়রা আদালত কংগ্রেস সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মানহানির মামলায়। এই মামলায় রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের কারাদণ্ড এবং ১৫ হাজার টাকার জরিমানার সাজা শুনিয়েছে আদালত। তবে আপাতত এক মাসের জন্য রাহুলকে জামিন দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি উচ্চ আদালতে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আজ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল লোকসভার সচিবালয়। (আরও পড়ুন: এপ্রিলে বাংলায় চালু হবে আরও এক বন্দে ভারত! হাওড়া-শিয়ালদা নয়, ছাড়বে এখান থেকে…)
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দুই বা তার অধিক বছরের জন্য কারাদণ্ডের সাজায় দণ্ডির হন, তবে তৎক্ষণাত তাঁর পদ খারিজ হবে। এই আবহে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ হয় আজ। উল্লেখ্য, রাহুলের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেন্দু মোদী। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, গোটা মোদী সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল। ভারতীয় দণবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গতকাল আদালত জানায়, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে কারাদণ্ডের সাজার পরই রাহুল জামিন পেয়ে যান। অবশ্য, আইন মেনে আজ সদস্যদ খারিজ হল রাহুলের।
আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি পর্ষদের, বলা হল কী?
এদিকে রাহুল দায়রা আদালতের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরাসরি হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন না, কারণ এটা ফৌজদারী মামলা ছিল। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব মোদীরা কেন চোর হয়?’ তিনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে, নীরব মোদী, ললিত মোদীকে বোঝাতে এই মন্তব্য করেছিলেন। তবে এতে ‘মোদী’ পদবীর সকলের অপমান হয়েছে বলে অবিযোগ ওঠে। এই মর্মে সুরাটের এক আদালতে রাহুল গান্ধীর নামে মামলা হয়েছিল। সেই মামলারই রায়দান করে আদালতের তরফে জানানো হয়, রাহুল গান্ধী দোষী।