CPM-এর দুর্নীতি প্রমাণ করতে সুজনের স্ত্রীর চাকরির চিঠি প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল

এবার সরাসরি সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে ১০ মিনিটে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরিতে যোগদানের চিঠির প্রতিলিপি প্রকাশ করা হয়েছে তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে। সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, কোনও পরীক্ষা না দিয়েই এই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি।

চিঠিতে দেখা যাচ্ছে গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষকে মিলিদেবী লিখছেন, ২৯.০৭.১৯৮৭ সালে পাওয়া একটা চিঠির ভিত্তিতে ০১.০৮.১৯৮৭ সালে চাকরিতে যোগদান করেন মিলিদেবী। ইন্সট্রুমেন্ট কিপার পদে যোগদান করেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী। তৃণমূলের তরফে এই চিঠি প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি ফাঁস হল! প্রাক্তন CPIM বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কোনও দিন কোনও পরীক্ষা পাশ করেননি। তিনি দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ৩৪ বছর চাকরি করেছে। ২০২১ সালে ৫৫ হাজার টাকা বেসিক পে নিয়ে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি পেনশন পাচ্ছেন। সিপিএমের ক্ষমতার সার্বিক অপব্যবহারের কাহিনী কখনও শেষ হবে না।

তৃণমূলের টুইট।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে করা এক টুইটে সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে টুইট করেন তৃণমূলের এক মুখপাত্র। তার কিছুক্ষণ পর আদালতে প্রবেশের সময় সুজনের নাম শোনা যায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে। যদিও সুজনবাবু বলেন, জেলে থাকতে থাকতে মাথার সার্কিট খারাপ হয়ে গিয়েছে।তাই এসব বলছেন। স্ত্রীর যোগদানের চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর সুজনবাবু বলেন, বারবার গোলপোস্ট বদলে খেলা হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সিপিএমের নিয়োগ দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করবেন। উনি আগে সেটা করুন। আর জবাবের অপেক্ষায় যেন উনি থাকেন।

বিরোধীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার হয়ে এবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নিজেদের দুর্নীতির বৈধতা আদায়ের চেষ্টা করছে তৃণমূল।