আদালতের চাপের মুখে পুলিশ, তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ২ সিভিক ভলান্টিয়ারকে

আদালতের চাপে রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের পরিধি বেঁধে শুক্রবারই নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। তার পরদিনই বালির ট্রাকে তোলাবাজির অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকায় গ্রেফতার হলেন ২ সিভিক ভলান্টিয়ার। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে চকদিঘি মোড় থেকে তাঁদের গ্রেফতার করেন টহলরত পুলিশকর্মীরা। পুলিশের এই তৎপরতায় প্রশ্ন, তবে কি সিভিক ভলান্টিয়াদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে জনরোষ টের পেয়েছে রাজ্য সরকার?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ মেমারি চকদিঘী মোড়ে দুটো বালি বোঝায় ট্রাককে জোর করে দাঁড় করিয়ে ওই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার তোলা আদায়ের চেষ্টা করছিল। ট্রাকচালক তোলা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। মেমারি থানার পাল্লা এলাকার মামুদপুর বাসিন্দা ট্রাক ড্রাইভার বিপ্লব বিশ্বাসের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মেমারি থানার পুলিশ এদিন ভোরে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম রাজকুমার মান্না ও শেখ আশিকুল রহমান। ধৃতরা মেমারি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের খাঁড়োর বাসিন্দা। ধৃতদের এদিন সুনির্দিষ্ট ধারা রুজু করে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়।

ট্রাক চালকের দায়ের করা তোলাবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের গ্রেফতারিকে চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা বলছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, আদালতের চাপের মুখে এখন সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে রাজ্য। আদালত সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ বেআইনি ঘোষণা করলে সেই বিপদ আরও বাড়বে। তাই আদালতকে দেখানোর জন্য কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। শেষ পর্যন্ত এতে চিঁড়ে ভেজে কি না সেটাই দেখার।