4% Reservation for Muslims Abolished: নির্বাচনের আগে কর্ণাটকে নয়া ‘চাল’ বিজেপি সরকারের, বাতিল করা হল ৪% মুসলিম সংরক্ষণ

এবছরই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কর্ণাটকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। এই আবহে ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হাঁটতেও পিছু পা হবে না গেরুয়া শিবির। এদিকে কর্ণাটকের জাতি ভিত্তিক অঙ্ক কষেও ভোটের সমীকরণ ঠিক করছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার এক বড় ঘোষণা করল বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সরকার। রাজ্যের সংরক্ষণে বড়সড় রদবদল করল ক্যাবিনেট। বৈঠকের পর রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হল, এবার থেকে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে মোট সংরক্ষিত আসন হবে ৫৬ শতাংশ। এদিকে মুসলিমদের জন্য যে ৪ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করে রাখা হত, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। (আরও পড়ুন: রাজ্যে ডিএ আন্দোলনকারীদের দমাতে এ কী করছে সরকার! হতবাক সব মহল)

বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সরকার জানিয়েছে, এবার থেকে আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত ১০ শতাংশ আসনের মধ্যেই মুসলিমদের সংরক্ষণ নির্ধারিত হবে। পৃথক ভাবে মুসলিমদের জন্য কোনও সংরক্ষণ রাখা বহবে না। এদিকে কর্ণাটকের সবচেয়ে বড় দুই সম্প্রদায় – লিঙ্গায়াত এবং ভোক্কালিগাদের সংরক্ষণ দেওয়ার ঘোষণা করল বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সরকার। উল্লেখ্য, লিঙ্গায়া তসম্প্রদায় বিগত কয়েক দশক ধরেই বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। বাসবরাজ বোম্মাই নিজেও লিঙ্গায়াত সম্প্রদায়ের। এর আগের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাও লিঙ্গায়াত ছিলেন। লিঙ্গায়াতদের সবথেকে বড় নেতা হিসেবে ইয়েদুরাপ্পাকে গণ্য করা হয়। এই আবহে ইয়েদুরাপ্পার অনুপস্থিতিতে বিজেপি লিঙ্গায়াত ভোট যাতে না হারায়, তার জন্যই এই পদক্ষেপ। এদিকে লিঙ্গায়াতদের ‘তোষণ’ করতে গিয়ে অন্য সম্প্রদায় যাতে আবার খাপ্পা না হয়ে যায়, তাও মাথায় রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নববর্ষে দ্বিতীয় বন্দে ভারত পাবে বাংলা, রেলমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আবেদন BJP সাংসদের

উল্লেখ্য, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কর্নাটকের ভোক্কালিগাদের জন্য সংরক্ষণ ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। পঞ্চমাসালি, লিঙ্গায়তদের জন্য সংরক্ষণও ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। জনজাতি বা শিডিউল কাস্টের জন্য় সংরক্ষণও ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করা হয়েছে। উপজাতি বা শিডিউল ট্রাইবের জন্য আসন সংরক্ষণ ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এই বিষয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, ‘আমরা রাজ্যের সংরক্ষণ সংক্রাম্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি ক্যাবিনেটের বৈঠকে। মন্ত্রিসভার সাব-কমিটি রাজ্যের সংরক্ষণ বিন্যাসে বেশ কিছু পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছিল। আমরা সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এবার থেকে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি দুই ভাগে বিভক্ত করা হবে। আরও পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ও সবথেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি। ধর্মীয় সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে নিয়ে তাদের আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির অন্তর্গত করা হয়েছে। তবে সংরক্ষণের শর্তে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।’