Forced Landing:কোচির উপকূলে আচমকাই নেমে এল উপকূল বাহিনীর হেলিকপ্টার, বিরাট রক্ষা

ALH-DHRUV Mark 3 হেলিকপ্টার রবিবার কেরলের কোচিতে জরুরী অবতরণ করেছে বলে খবর। এটি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হেলিকপ্টার। সেটিই আচমকা নেমে এল কোচির উপকূলে। সূত্রের খবর, এই হেলিকপ্টারটি মূলত একটি ট্রেনিং ফ্লাইট। ওই চপারে তিনজন পাইলট ছিলেন। তারা আচমকাই নেমে আসে কোচির উপকূলে। এই ঘটনায় একজন পাইলট কিছুটা জখম হয়েছেন। তবে বিরাট দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে হেলিকপ্টারের পাইলটরা। কপ্টারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

মোটামুটি ২৫ ফুটের বেশি উঁচুতে ছিল হেলিকপ্টারটি। তখনই সেটি মাটিতে নেমে আসতে বাধ্য হয়। আইসিজি অফিসিয়ালের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাহিনীর পাইলটরা হেলিকপ্টারটি নিয়ে পরীক্ষা করছিলেন। সেই সময় এই ঘটনা। এএলএইচ ধ্রুব মার্ক থ্রি হেলিকপ্টারটি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর অধীন। সেটি ফোর্সড ল্যান্ডিং করেছে কোচির উপকূলে।

 

ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, কোচিন ইন্টারন্যাশানাল এয়ারপোর্ট থেকে এটি ছেড়েছিল। ১২.২৫ মিনিট নাগাদ এটি ছাড়ে। এদিকে টেক অফের পরেই সিজি-৮৫৫ হেলিকপ্টারটি ৩০-৪০ ফুট উপরে ছিল। ওই ফ্লাইটের সাইক্লোনিক কন্ট্রোল কাজ করছিল না। প্রসঙ্গত এই সাইক্লোনিক কন্ট্রোলটি বিমানে অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশকে নির্ধারিত করে। তবে একেবারে পেশাগত দক্ষতার দেখিয়ে ও উপস্থিত বুদ্ধির জেরে পাইলট দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। পাইলট দ্রুত প্রধান রানওয়ে থেকে সরে যান যাতে প্রধান রানওয়েটি যেন কোনওভাবে অবরূদ্ধ হয়ে না যায়।

এরপরই তিনি তিনটি প্রাণকে বাঁচানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেন। প্রধান রানওয়ের বাঁদিকে চলে গিয়েছিল এয়ারক্রাফটটি। তবে সমস্ত পাইলটই নিরাপদে রয়েছেন। এয়ারক্রাফটির রোটরস ও এয়ারফ্রেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ইতিমধ্যেই এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছন। কেন এই ধরনের ঘটনা হল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে গত ৮ মার্চ মুম্বই উপকূলে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল এএলএইচ। সেই বিমানটি ভারতীয় নৌবাহিনীর ছিল।তবে শেষ পর্যন্ত তিনজন ক্রু মেম্বার নিরাপদে নেমে আসতে পারেন। সেই সময় সেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফের সেই একই ধরনের ঘটনা কোচির উপকূলে। কার্যত ফোর্সড ল্যান্ডিং করল বিমানটি। পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে রক্ষা পেয়েছেন সকলে।