বিদেশি মহিলার গর্ভ থেকে জন্মানো…বিজেপিকে ধুয়ে দিয়ে RG’র পাশে মহুয়া

বিজেপি এমপি প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর নাম না করে আক্রমণ করেছিলেন রাহুল গান্ধী ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীকে। তিনি বলেছিলেন, একজন বিদেশী গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া কোনও ব্যক্তি কোনওভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারেন না। এর সঙ্গেই তিনি চানক্যর কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভূমিপুত্ররাই এই দেশকে রক্ষা করতে পারবেন।

এদিকে গান্ধীদের ইটালিয়ান নাগরিকত্ব থাকা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, যদি আপনার দুটি দেশের নাগরিকত্ব থাকে তবে কীভাবে আপনার দেশের প্রতি ভালোবাসা আসবে?

এদিকে বিজেপি এমপির সেই বক্তব্যকে ঘিরে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের এমপি মহুয়া মৈত্র। তিনি টুইট করে লিখেছেন, বিদেশি মহিলাদের গর্ভ থেকে কোনও ব্যক্তির জন্ম হলে তিনি কখনও দেশপ্রেমিক হতে পারেন না। বিজেপি এমপি একথা বলছেন।

এটা আসলে এতটাই অসুস্থ আর বিকৃত বিভিন্ন স্তরে । মানসিকভাবে অসুস্থ বিকৃত গেরুয়া লোকজন এসব চিন্তাভাবনা করেন কিন্তু বিজেপির লোকজন যেভাবে এই বক্তব্যকে বলছেন তা দুঃখজনক। এটা সেই মহুয়া নয় যিনি আরজিকে, গোদি মিডিয়াকে সমর্থন করছেন, এটা হচ্ছে সেই মহুয়া যিনি শালীনতাকে সমর্থন করছেন।

 

আরজি বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন সেটা তিনি প্রকাশ্য়ে আনেননি। তবে অনেকেই বলছেন আরজি বলতে তিনি আসলে রাহুল গান্ধীর কথা বোঝাতে চেয়েছেন। তবে তৃণমূল এমপির এই টুইট নতুন করে ভাবনার জন্ম দিয়েছে।

তবে মহুয়া মৈত্রের এই টুইট প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন নেট নাগরিকরা। একজন আবার সীতার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। অপরজন লিখেছেন বিজেপি এমপি সম্ভবত চানক্য়ের কথা উল্লেখ করেছেন। চানক্য কিন্তু খুব জ্ঞানী ছিলেন। তার পরামর্শেই কিন্তু ভারত তৈরি হয়েছিল। অপর এক নেট নাগরিক লিখেছেন, এখন তো অনেকেই বিদেশিকে বিয়ে করেন। দেশকালের সীমা ছাড়িয়ে এখন তারা এসব করেন। কিন্তু বহুকাল আগে বলা কথাকে এখন বলে কোনও লাভ হবে না।

অপর একজন লিখেছেন, মহুয়া মৈত্র আপনি একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। আপনি সফলভাবেই প্রমাণ করেছেন যে ভারতীয় বাবা মায়ের মাধ্যমে কেউ জন্ম নিয়েও তিনি দেশ বিরোধী হতে পারেন। আপনি তার জীবন্ত প্রমাণ। কার্যত সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে।

অপর একজন লিখেছেন আপনি সবসময় এই গেরুয়া শব্দ ব্যবহার করাটা বন্ধ করুন। স্বামী বিবেকানন্দও গেরুয়া পরতেন। অন্যান্য সন্ন্যাসীরাও গেরুয়া পরেন। আপনার যদি আরএসএসদের নিয়ে কোনও সমস্যা থাকে তবে তাদের সঙ্গে লড়াই করুন। কিন্তু ওই গেরুয়া শব্দ ব্যবহার করা বন্ধ করুন।