Droupadi Murmu: বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির মধ্যাহ্নভোজে নিরামিষ মেনু, কেমন পদে আপ্যায়ন?‌

বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উপলক্ষে আজ, মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর সিভি আনন্দ বোসও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন। একদিকে সেজে উঠেছে শান্তিনিকেতন। অন্যদিকে নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শান্তিনিকেতন। দুপুর ১২টায় বিনয় ভবনের হেলিপ্যাডে নামবেন রাষ্ট্রপতি। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ও রীতি মেনে তাঁকে বরণ করার পাশাপাশি আতিথেয়তায় সবরকম বন্দোবস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁর পছন্দের কথা মাথায় রেখে রথীন্দ্র অতিথিগৃহে নিরামিষ পদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির মধ্যাহ্নভোজের জন্য থাকছে বাঙালি পদ।

এদিকে ২০২২ সালে উত্তীর্ণ স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডির পড়ুয়াদের জন্য ঐতিহ্যবাহী সমাবর্তন হচ্ছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রীতি মেনে পাঠভবন লাগোয়া আম্রকুঞ্জের জহরবেদিকে সাজানো হয়েছে। আলপনা দিয়ে সাজিয়েছেন কলাভবনের পড়ুয়া এবং অধ্যাপকরা। নিরাপত্তায় সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ–প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় ড্রপগেট বসানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। এমনকী রাষ্ট্রপতি শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন ক্যাম্পাস এবং সংলগ্ন এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সচিবালয় সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় আজ, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি শান্তিনিকেতনে পৌঁছবেন।

রাষ্ট্রপতির মধ্যাহ্নভোজে কেমন পদ থাকছে?‌ কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতির মধ্যাহ্নভোজের জন্য থাকছে বাঙালি পদ। রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে নিরামিষ পদে আপ্যায়ন করা হবে। মেনুতে থাকছে ভাত, রুটি, স্যালাড, আলুর ঝুরো চিপস্, মুগ ডাল, পটলের দোরমা, পোস্তর বড়া, পনির, ভেন্ডি ভাপা–সহ চাটনি। এছাড়া রাষ্ট্রপতির পছন্দের কথা মাথায় রেখে মাশরুম মশালা, মিষ্টি দই, চিত্তরঞ্জন এবং কেশর রাজভোগ পরিবেশন করা হবে। রথীন্দ্র অতিথিগৃহে দীর্ঘদিন ধরেই খাওয়ানোর দায়িত্বে রয়েছেন সজলরঞ্জন সেন। তিনি বলেন, ‘‌বিশ্বভারতীতে ভিভিআইপি আসার ঘটনা নতুন নয়। আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং রামনাথ কোবিন্দকেও আপ্যায়ন করে তৃপ্ত করেছি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীদেবীকেও সেরা স্বাদের রান্না পরিবেশন করা হবে।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ইতিমধ্যে বিনয় ভবন মাঠ সংলগ্ন এলাকাকে নো–ফ্লাইং জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ড্রোন, বেলুন জাতীয় কিছু ওড়ানো বা ওড়ানোর চেষ্টা করলেই বড় পদক্ষেপ করা হবে। মধ্যাহ্নভোজের পর রবীন্দ্র ভবনের উদয়ন, কোণার্ক, শ্যামলী, পুনশ্চ, উদীচি— রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য এই পাঁচটি বাড়ি পরিদর্শন করবেন। কলাভবন ঘুরে দেখবেন রাষ্ট্রপতি। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবির রেপ্লিকা তুলে দেওয়া হবে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের হাতে। সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়ারা। বৈদিক মন্ত্র, সংকল্প বচন, শান্তি বচনের মাধ্যমে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি যাবেন বিনয় ভবন। সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা।