কলকাতায় বিজেপির মঞ্চে বগটুইয়ের শহিদ পরিবারের সদস্যরা

হপ্তা ঘোরেনি বগটুই গণহত্যার বর্ষপূর্তিতে শাসক বিরোধীর দড়িটানাটানি দেখেছে রাজ্যবাসী। তার মধ্যেই ফের একবার রাজনীতির পরিসরে বগটুই। বুধবার কলকাতার শ্যামবাজারে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির ধরনামঞ্চে হাজির হলেন বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। রাজনৈতিক বিশেজ্ঞদের একাংশের মতে, মুসলিম ভোট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত উদ্বেগ কেন তা বলে দেয় এই ঘটনা।

গত ২১ মার্চ বগটুই গণহত্যার বর্ষপূর্তিতে নজিরবিহীন টানাপোড়েন দেখেছিল রাজ্যবাসী। বগটুইয়ে নিহতের বাড়ির সামনে বিজেপি শহিদ বেদী নির্মাণ শুরু করতেই কয়েক মিটার দূরে শহিদ বেদী গেঁথে ফেলে তৃণমূলও। ২১ মার্চ বিজেপি ও তৃণমূল নেতারা সেখানে হাজির হলে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। বিশেষ করে মৃতের পরিবারের সদস্য বানিলাল শেখের বাড়িতে তৃণমূল নেতারা ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তাদের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না তাঁরা। যার জেরে চরম অস্বস্তির মুখে পড়তে হয় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাসহ অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের। শেষে আশিসবাবুকে ছাড়াই বানিলাল শেখের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা।

সেই ঘটনার ঠিক ন’দিনের মাথায় কলকাতায় বিজেপির মঞ্চে হাজির হলেন বানিলাল শেখের ভাই মিহিলাল শেখ সহ নিহতদের পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা। গত রবিবার মিহিলালের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনার ব্যবস্থা হয়েছিল। তখনই মিহিলাল জানিয়েছিলেন, যারা স্বচ্ছ তাদের সঙ্গে আছি। তার তিন দিনের মাথায় সরাসরি বিজেপির মঞ্চে হাজির হলেন মিহিলাল।

বগটুই হত্যাকাণ্ডে বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত তথা তৃণমূল নেতা আনারুল শেখের জামিনের আবেদন। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে আনারুলের আয়োজনেই ভাদু শেখ খুনের পর গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন জ্বালানো হয় বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুসলিমদের একাংশ মনে করছেন তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে মরছে তাদেরই সম্প্রদায়ের সদস্যরা। তার পরও বিজেপির জুজু দেখিয়ে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক দখল করে রেখেছে বিজেপি। যদিও বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে মুসলিমদের আর্থিক উত্থানও চোখে পড়ার মতো।