Congress: লোকসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পরিকল্পনা কংগ্রেসের: Report

এবার লোকসভার স্পিকাল ওম বিড়লার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বিরোধীরা। সূত্রের খবর, বিরোধীরা লোকসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে এবার অনাস্থা আনতে পারেন বলে খবর। কংগ্রেসের এমপিদের মধ্য়ে বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এমনকী কংগ্রেস এনিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন বিরোধীরা লোকসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে এমন অনাস্থার পথে হাঁটতে চাইছেন?

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আসলে সম্প্রতি সাংসদ পদ থেকে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে খারিজ করা হয়েছে। এরপরই কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা এনিয়ে তীব্র আন্দোলনে নামেন। তবে বিরোধীদের দাবি নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সেকারণেই এবার ওম বিড়লার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করা হবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ ইস্যুতে বিরোধীরা কার্যত একজোট হয়ে গিয়েছিলেন। এমনকী কংগ্রেসের চরম প্রতিপক্ষ বলে পরিচিত তৃণমূলও এই সদস্যপদ খারিজ ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নেন। তার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য বিরোধী দলও এই ইস্যুতে কার্যত রাহুলের পাশে দাঁড়ান। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান তারা। তবে কি এবার সেই ইস্যুতে বিজেপিকে আরও কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লাগল কংগ্রেস?

এদিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল ও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সাংবাদিক সম্মেলনেরও ডাক দিয়েছেন। সব মিলিয়ে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে ক্রমেই সরগরম হয়ে উঠছে দিল্লির রাজনীতি।

কেসি বেনুগোপাল জানিয়েছেন, আদানি কেলেঙ্কারি ইস্যুতে এই সরকার কোনও কথা শুনতে চাইছে না। আজও আমরা যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা শুনতেই চাইছে না। যদি সরকার দোষী না হয়ে থাকে তবে জেপিসি তৈরি থেকে কেন বার বার পিছু হঠে যাচ্ছে সরকার? এটা তাদের বলতে হবে।

এদিকে কংগ্রেস কার্যত আদা জল খেয়ে কোমর বেঁঁধে এবার ময়দানে নামছে। জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, লোকতন্ত্র বাঁচাও মশাল শান্তি মার্চের আয়োজন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লাল কেল্লা থেকে টাউন হল পর্যন্ত এই মশাল মিছিল হবে।কংগ্রেসের সাংসদরা, কংগ্রেসের কর্মীরা এই মিছিলে অংশ নেবেন। সব মিলিয়ে রাহুল গান্ধী ইস্যুতে একেবারে সুর চড়াতে শুরু করেছেন কংগ্রস নেতৃত্ব। তারা জানিয়েছেন আগামী ৩০দিন ধরে সমস্ত ব্লকে, রাজ্যে ও জাতীয় স্তরে জয় ভারত সত্যাগ্রহ আন্দোলন অনুষ্ঠিত হবে।