Kolkata yellow taxi: কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি আর চেনা ধাঁচে চলবে না, কী বদল আসতে চলেছে সরকারি উদ্যোগে

কলকাতার একদিকে যেমন হাওড়া ব্রিজ, শহিদ মিনার বা ময়দান, তেমনই আরেকদিকে হলুদ রঙের ট্যাক্সি। কলকাতার নস্ট্যালজিয়াই বলা হোক বা সিগনেচার ইমেজ, হলুদ ট্যাক্সি বাদ দিয়ে এখনও তা ভাবা যায় না। তবে কালের সঙ্গে সঙ্গে সেই ট্যাক্সি বুঝি হারাতে চলল। একটা বড় কারণ পরিবেশ দূষণ। দিন দিন বাড়ছে দূষণের সমস্যা। আর হলুদ ট্যাক্সির মডেল যথেষ্ট পুরনো বলে দূষণের বড় কারণ আগামী দুই বছরের মধ্যে একটা বড় সংখ্যক ট্যাক্সিই অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। 

আরও পড়ুন: ৭৫-এ কি বিছানায় সক্ষম থাকা যায়? ৯২-এরপর কোন সুখ পেতে বিয়ে? কী বলছেন চিকিৎসক

আরও পড়ুন: আরামে মলত্যাগ করুন, এক ফোঁটাও জল লাগবে না, কীভাবে করবেন ভাবছেন? ভিডিয়ো তো রইলই

কয়েক বছর আগেই এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে নয়া আইন এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই বছরও বেশ ভালোরকম অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে পুরনো গাড়ি ঠিকমতো বাতিলের প্রক্রিয়াতে। কলকাতার অ্যাম্বাসাডার মডেলের হলুদ ট্যাক্সিও বেশ পুরনো। হিন্দুস্তান মোটর কোম্পানি বর্তমানে আর সেই গাড়ি তৈরি করে না‌। ২০২৫ সালের মধ্যে রাস্তায় চলতি সবকটি গাড়িই ১৫ বছরে পড়বে। যার পরে বাতিল হওয়াই একরকম ভবিতব্য। 

তবে সম্প্রতি ব্রিটেন ও ভারত সরকার যৌথভাবে একটি নয়া উদ্যোগ নিয়েছে। ‘অ্যাক্সিলারেটিং স্মার্ট পাওয়ার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের অধীনে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের বদলে ইলেকট্রিক চালিত ইঞ্জিন বসানোর প্রস্তাব আনা হয়েছে। এতে দূষণের পরিমাণ অনেকটাই কমবে। পুরনো ইঞ্জিন পাল্টে নয়া ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বসালে গাড়িও চলবে অনেকটা মসৃণভাবে। সংবাদ সূত্র অনুযায়ী, ট্যাক্সি ইউনিয়ন প্রাথমিকভাবে এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে।তবে একই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি দিক ভেবে।

আরও পড়ুন: এই কর্মক্ষেত্রের কর্মীরাই নাকি সবচেয়ে বেশি দুঃখে! আর কী বলছে ৮৫ বছরের গবেষণা

আরও পড়ুন: ব্যায়াম করার পরেই এই কাজগুলি করছেন নাকি? পুরো খাটুনিই জলে যাচ্ছে

ইলেকট্রিক চালিত ইঞ্জিন লাগানোর ক্ষমতা সব ট্যাক্সিচালকদের রয়েছে কিনা সেটা একটা বড় ব্যাপার। এছাড়াও ব্যাটারি রিচার্জ করার পর্যাপ্ত স্টেশনও নেই শহরে। ফলে চার্জ ফুরোলে বিপদে পড়বেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা। তবে বিকল্প হিসেবে সৌরশক্তির ব্যবহারের কথাও বলছে ওয়াকিবহাল মহল। সৌরশক্তি ব্যবহার করলে হঠাৎ এমন বিপদের আশঙ্কাও কমবে কিছুটা। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup