নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক আদলতের রায়ে জেরবার সরকার। বেশ কিছুদিন ধরে বাম জমানার নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে সরব হয়েছে শাসকদল। নিয়োগ দুর্নীতে উঠে এসেছে চিরকুট প্রসঙ্গ। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের আন্দোলন হলেও সেই মঞ্চে দলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে উঠে এসেছে বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ। তবে এদিন দলেনেত্রীর ভাষণে উল্লেখযোগ্য ভাবে উঠে এসেছে সিপিএম মুখপত্রে যারা চাকরি করতেন তাঁদের স্ত্রীদের চাকরি পাওয়া প্রসঙ্গ।
বুধবার ধরনা মঞ্চে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘সিপিআইএমের মুখপত্রে যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের স্ত্রীরা সব শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। কী করে? খুলব খাতাটা?’ এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,’একজন বাবু আছেন সিপিএমের। যিনি রোজ কুৎসা করে বেড়ান। তাঁর বউ চিরকুটে ঢুকেছিল। তিনশ টাকা ঢুকেছিল এখন প্রচুর পেনশন পায়। ‘
(পড়তে পারেন। সরকারি কর্মচারীদের একাংশের পেনশন কি বন্ধ করে দেবে রাজ্য? বড় মন্তব্য করলেন মমতা )
এর আগে তিনি নিয়োগ কাণ্ডে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে সব অভিযোগ উঠছে সেগুলির পিছনে সিপিএমের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের হাত আছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি স্কুল হোক বা মাধ্যমিক, যত কাগজ বেরোচ্ছে, এ সব সিপিআইএমের কো-অর্ডিনেশন কমিটির লোকেরা করেছে। করেছে বিভিন্ন জায়গায় বসে থেকে। অথচ ওদের একটা ফাইল খুঁজুন। পাবেন না। ২০০১ সালের ফাইল খুঁজুন পাবেন না। লুকিয়ে রখেছে। ২০০২ সালের পাবেন না। ২০০৯ সালের পাবেন না। ২০১০-এর খুঁজুন পাবেন না। হয় চুরি করেছে, নয় তো পুড়িয়ে দিয়েছে। নয় লুকিয়ে রেখেছে। আর আজকে তারই গলার বেশি জোর।’
এই বক্তব্যের রেশ ধরেই মমতা বলেন, ‘খুলব খাতাটা? পেনশনটা নিয়ে তাহলে একটু নড়াচড়া করি? কারও ৫৫,০০০ (টাকা), কারও ৬০,০০০। এক তারিখে পেনশন পায়। মাইনে তো পায়।’