বিকল্প রাস্তা না করে কালভার্ট নির্মাণ, দুর্ভোগে পথচারীরা

চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরের অক্সিজেন সড়কে কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে ধীর গতিতে। রাখা হয়নি চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নগরীর ব্যস্ততম সড়ক দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হলেও কাজ চলছে ধীর গতিতে। এ কারণে জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।   

জানা গেছে, এ সড়ক দিয়ে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দারা চলাচল করেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় গত ১৭ জানুয়ারি মুরাদপুর মোড়ে অবস্থিত কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। ঈদের আগে কালভার্ট নির্মাণকাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার কথা বলছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। 

মুরাদপুর এলাকার ব্যবসায়ী এস এম শহিদুল্লাহ রনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উন্নয়ন কাজ করবে ভালো কথা। এ উন্নয়ন কাজের জন্য যান চলাচল বন্ধ রয়েছে দুই মাস ধরে। চলাচলও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’

এদিকে মুরাদপুর থেকে অক্সিজেনমুখী এ সড়কে পথচারীদের যাতায়াতের জন্য একটি অস্থায়ী লোহার ব্রিজ দিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে ব্রিজটি সরু হওয়ায় যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। বিশেষ করে অফিস শুরু এবং শেষ হওয়ার পর রীতিমতো যাতায়াতের জন্য এ ব্রিজের দুই পাড়ে লোকজনের দীর্ঘ লাইন লেগে থাকে।

প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ্ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুরাদপুরের কালভার্টের নিচে চট্টগ্রাম ওয়াসার সাতটি পাইপ লাইন ছিল। পাশাপাশি গ্যাসের পাইপ লাইন, বিদ্যুৎ ও বিটিসিএল এর পোল ছিল। এগুলো সরাতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো বিলম্ব করেছে। এ কারণে যথা সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। ঈদের আগে কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারব বলে আমরা আশা করছি।’