Calcutta High court: সমবায় সমিতির সদস্যের সই জাল করে ভুয়ো মামলা, তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

একটি ভুয়ো রিট পিটিশন দায়ের সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একটি সমবায় সমিতির মামলায় আট জন সদস্যের সাক্ষর জাল করে রিট পিটিশন দাখিল হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। যার মধ্যে একজন সদস্য ২০২১ সালে মারা গিয়েছিলেন। সেই ব্যক্তির সাক্ষর ছিল রিট পিটিশনে। বিচারপতি মহম্মদ নিজামউদ্দিন জাল স্বাক্ষরের ভিত্তিতে রিট পিটিশনটি দায়ের করা দেখে বিস্মিত হয়ে যান। তার ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, এটি একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। যে ব্যক্তিদের সাক্ষর জাল করে তাদের নামে এই রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়েছে তারা আবেদনকারীকে এই রিট পিটিশন দায়ের করার অনুমতি দেয়নি। তার পরেও কীভাবে রিট পিটিশন দায়ের করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। সমবায় সদস্যেদের পক্ষে আইনজীবী জানান, ওই সদস্যের সম্মতি না থাকা সত্ত্বেও তাদের সাক্ষর জাল করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। এমনকী তাঁরা জানতেনই না যে এই রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। এরপরেই বিচারপতি নিজামুদ্দিনের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই বিষয়ে সিআইডির অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেলকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এবিষয়ে আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। এই মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পবিত্র চরণ ভট্টাচার্য ও চন্দন কুমার লাল।

অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের হয়ে মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী প্রদীপ কুমার রায়, প্রবীর কুমার রায় ও জয়দীপ রায়। আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ‘এই ধরনের গুরুতর অপরাধমূলক কাজকে মোটেই প্রশ্রয় দেয় না।’ এই মামলার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত আছে তা খুঁজে বার করতে বলেছে আদালত। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে, জীবিতকে মৃত বানিয়ে ডাই ইন হারনেসে ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার ফোর্সে (এনভিএফে) নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এই কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। এই মামলায় অভিযোগ, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এনভিএফে বেআইনি নিয়োগের বহু ঘটনা সামনে এসেছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup