৯০-১০০ কোটির অবৈধ লেনদেন, ষড়যন্ত্রকারী সিসোদিয়া, আবগারি মামলায় জানাল আদালত

আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিল আদালত। ২০২১-২২ সালে আবগারি পলিসির প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের জেরে সিবিআই তাকে গ্রেফতার করেছিল। এদিকে শুক্রবার দিল্লি আদালত জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই আপ নেতা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এদিকে সিবিআই ও ইডির করা মামলায় আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন সিসোদিয়া।

রাউস এভিনিউ কোর্টের স্পেশাল জাজ এমকে নাগপালের পর্যবেক্ষণ প্রায় ৯০-১০০ কোটি টাকা আগাম তার ও দিল্লি সরকারের অন্যান্য সহকর্মীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, অগ্রিম ৯০-১০০ কোটি টাকা তাঁর ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল।তার মধ্যে ২০-৩০ কোটি টাকা সহ অভিযুক্ত বিজয় নায়ার, অভিষেক বইনপল্লি ও দীনের অরোরার মাধ্যমে এসেছিল। তার বদলে আবগারি নীতিতে কিছু রদবদল করে মদের কারবারীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

৩৪ পাতার সেই রায়ে আদালত জানিয়েছে, সিসোদিয়াকে এই সময় জামিনে মুক্তি দেওয়াটা ঠিক হবে না। কারণ তিনি মুক্তি পেলে তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। এমনকী তদন্তের অগ্রগতিতেও বড় প্রভাব পড়তে পারে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে সহ অভিযুক্ত বিজয় নায়ারের সঙ্গে সাউথ লবির যোগ ছিল। তাদের পক্ষে সুবিধাজনক আবগারি নীতি তৈরি হয়েছিল। কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের মদ বিক্রির ক্ষেত্রে একাধিকপত্য দেওয়ার বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল।আর সেটা আবগারি নীতির একেবারেই বিরোধী। যতটুকু তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে প্রাথমিকভাবে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন ওই অভিযুক্ত( মণীশ সিসোদিয়া)।

অন্যদিকে আদালত জানিয়েছে, সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে তা গুরুত্বপূর্ণ।তাকে এখনই জামিন দেওয়া ঠিক হবে না। ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত সেটা এখনও শেষ হয়নি। আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় অন্য যারা অভিযুক্ত রয়েছে তাদের সম্পর্কে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এই ষড়যন্ত্রের শেকড় বহু দূর পর্যন্ত প্রোথিত রয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। যে তথ্য প্রমাণ পাওা গিয়েছে তাতে সিসোদিয়ার সক্রিয় অংশগ্রহণই শুধু নয়, তিনি আরও একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ।