Asansol murder case: আসানসোলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী খুনে উদ্ধার অডিয়ো ক্লিপ

আসানসোলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী খুনে তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার ১১ মিনিটের একটি অডিয়ো ক্লিপিংয়ের হদিস পেল পুলিশ। সেই অডিয়ো ক্লিপিংয়ে ছাত্রীর সঙ্গে এক যুবকের কথোপকথন শোনা গিয়েছে। পাশপাশি সেই রেকর্ডিংয়ে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) এক অভিযুক্তের নামও শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ছাত্রীর এক বান্ধবী।

গত ২৭ মার্চ থেকে ওই ছাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সকালে রাস্তার ধার থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। এর প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজ এবং জনজাতি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত তরুণী ওই ছাত্রীকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকেছিল। তিনি নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করেছিল। একজনের কাছ থেকে তিনি টাকা পেতেন সেই টাকা ছাত্রীকে নিয়ে আসার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। বান্ধবীর কথায় রাজি হয়ে ছাত্রটি দোকানে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই দুই যুবক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বাড়ি না ফেরায় ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর পরিবারের লোকজন মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তবে মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পুলিশের দাবি, যে অডিয়ো রেকর্ডিং উদ্ধার হয়েছে সেটি ওই রাতেরই।

এই ঘটনায় সমীর মাড্ডি, সুমিতা হেমব্রম, রোহিত হাঁসদা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অডিয়ো রেকর্ডিংয়ে সুমিতার নাম শোনা গিয়েছে। এছাড়া, এই ঘটনায় আর নতুন কোনও তথ্য খুঁজে পায়নি পুলিশ। আসানসোল–দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।

অন্যদিকে, মৃত ছাত্রীর পরিবারের সকলে এখন সপরিবারে দেশের বাড়িতে রয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ধৃত সমীরকে আগে বহুবার এলাকায় দেখা গিয়েছে। তবে রোহিতকে এর আগে কোনওদিন দেখেননি। পাশাপাশি ঘটনাস্থল বাঁশ এবং ফিতে দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানে দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন রয়েছে। প্রসঙ্গত, ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরে তাঁর বাবা দাবি করেছিলেন প্রতিহিংসার কারণে এই খুনের ঘটনা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, নিখোঁজ ডায়েরি করার পরেও তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। পুলিশ তৎপর হলে সে ক্ষেত্রে ছাত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হতো।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup