ফোনে লেখা,সরি… বাংলার বাসিন্দা IIT মাদ্রাজের মেধাবী পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

আইআইটি মাদ্রাজের এক মেধাবী পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু। সেখানকার এক পিএইচডি পড়ুয়া আত্মহত্য়া করেছেন বলে খবর। শুক্রবার ভেলাচেরির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর নিথর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বাড়িতে আদতে বাংলায়। তিনি ভেলাচেরিতে থাকতেন। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। কেন তিনি এই চরমপথ বেছে নিলেন?

তাঁর হোয়াটস অ্যাপ স্ট্যাটাসে লেখা ছিল সরি, আই অ্যাম নট গুড এনাফ। কার্যত মৃত্যুর আগে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, দুঃখিত, আমি যথেষ্ট ভালো নই। এটা লিখেই তিনি চরম পথ বেছে নেন। তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে কি পড়াশোনার প্রচন্ড চাপ সহ্য করতে না পেরেই তিনি এই চরম পথ বেছে নিলেন?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সচিন কুমার জৈন। তাঁর বয়স ৩২ বছর। তাঁর আসল বাড়ি বাংলায়। কিন্তু আইআইটি মাদ্রাজের গিন্ডি ক্যাম্পাসের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে তিনি গবেষণা করতেন। বরাবরের মেধাবী ছাত্র হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন আইআইটিতে। সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছিলেন। আর পাঁচজন ঠিক যেভাবে এগিয়ে যান সামনের দিকে। কিন্তু সেই জার্নি থেমে গেল মাঝপথেই। চিরতরে হারিয়ে গেল বাংলার ওই প্রতিভাবান যুবক।

সূত্রের খবর শুক্রবার সকালে তিনি ক্লাসও করেছিলেন। এরপর সন্ধ্যায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি সন্ধ্যায় কাউকে কিছু না জানিয়েই ভেলাচেরির বাড়িতে চলে যান। তার সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর বন্ধুরা। পরে তারা ভেলাচেরির বাড়িতে চলে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন খাবার ঘরে দেহটি ঝুলছে। এরপর তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

এদিকে এক মাসে সেখানে এনিয়ে তৃতীয় মৃত্যুর খবর সামনে এল। মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন তিনি এই চরম পথ বেছে নিলেন তা পরিষ্কার নয়। কেন তিনি গভীর অবসাদে ডুবে ছিলেন? নাকি তাৎক্ষণিক কোনও ঘটনার জেরে এই সিদ্ধান্ত? ঘটনার পরে ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন সচিন। তাঁর পরিবারেকে সমবেদনা জানিয়েছে ইনস্টিটিউট। এদিকে এই ঘটনায় তাঁর সহপাঠীরাও ভেঙে পড়েছেন।