Sovondeb Chatterjee: ‘‌দেখলে মনে হয় পাক্কা বৈষ্ণব, ভণ্ডদের থেকে সাবধান’‌, সুজনকে খোঁচা শোভনদেবের

বাম আমলে চিরকূটে চাকরি হয়েছে। এই অভিযোগকে সামনে রেখে এবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিশানা করলেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী। এমনকী তাঁকে ভণ্ড বলে কটাক্ষ করলেন খড়দার বিধায়ক। আর প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উদয়নের বক্তব্য নিয়েও মুখ খুললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী এবং আত্মীয় পরিজনদের চাকরির তালিকাও এসেছে প্রকাশ্যে। আর তা নিয়ে মুখ খুললেন পরিষদীয় মন্ত্রী।

ঠিক কী বলেছেন শোভনদেব?‌ সুজন চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের একডজনের বেশি সদস্যের সরকারি চাকরি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর সেই কাজটি দায়িত্ব নিয়ে করেছেন কুণাল ঘোষ। এবার তার মধ্যেই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নিশানা করেন সুজন চক্রবর্তীকে। তিনি বলেন, ‘‌এখন দেখলে মনে হয় পাক্কা বৈষ্ণব। কোনওদিন একটা পিঁপড়েও মারেনি। এই ভণ্ডদের থেকে সাবধান থাকবেন।’‌

উদয়নের মন্তব্য নিয়ে কী বললেন?‌ সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ এই অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‌জ্যোতি বসু বড় দুর্নীতি করেছেন। তখন উচ্চমাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করা অনেক মেধাবী পড়ুয়ারা জয়েন্টে পাশ করতে না পেরে ডাক্তারি পড়তে পারতেন না। তখন মুখ্যমন্ত্রীর কোটা ছিল ১০টা ডাক্তারি, ১০টা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। সিপিএম নেতা মানিক দত্তের ছেলে সেই সময় সেকেন্ড ডিভিশনে পাশ করে আজকে ডাক্তার হয়েছেন জ্যোতিবাবুর কোটায়। উনি দুর্নীতি করেননি?’‌ উদয়নের এই মন্তব্য এখন শোরগোল ফেলে দিয়েছে। আজ তার জবাবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌উদয়ন গুহ বলেছেন উনি জানেন সেকেন্ড ডিভিশন পেয়ে একজন ডাক্তারিতে সুযোগ পায় জ্যোতিবাবুর কোটাতে। যোগ্যতা ছিল না কোটায় পেয়েছেন। অযোগ্যরাও চাকরি পেয়েছে। ওই কোটাতে অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছে। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।’‌

আর কী বলেছেন মন্ত্রী?‌ এদিন আবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন। তাঁর কথায়, ’‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেককে মন্দিরের পূজারী করেছিলেন। কিন্তু সব পূজারী ভাল হয়নি। কেউ কেউ খারাপ হয়েছে। কিন্তু পূজারী খারাপ হয়েছে বলে তার মানে গোটা দলটা খারাপ সেটা একেবারেই নয়। আমার বিধানসভার সব বক্তব্যগুলো বের করছি আমি। ২০০১ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ডিপার্টমেন্ট অব টেকনিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে অধ্যাপক পদে প্রায় ২০০ লোক নেয়। এ–গ্রেড অফিসারের সমতুল এই পদ। অথচ যারা পেল তাদের ৬০ শতাংশ নম্বর নেই। পরে এরা লেকচারার পদে নিয়মিত করা হল। সবটাই পিছন দরজা দিয়ে লোক ঢোকানোর জন্য। পরে কমিটি তৈরি করে এদের স্থায়ীও করে দেয়। সেই ফাইলের পুরো কপি আছে আমার কাছে।’‌