Johnson & Johnson: জনসন অ্যান্ড জনসনের পাউডার কি সত্যিই ক্যানসার ঘটায়? মেনে নিল কি সংস্থা

যুগের পর যুগ ধরে ভারত তো বটেই সারা পৃথিবীতেই শিশুদের যে পাউডার মাখানো হয়, তা জনসন অ্যান্ড জনসন। কোনও বাড়িতে সদ্যজাত কাউকে দেখতে গেলেও অতিথিরা এই পাউডার-সহ অন্যান্য জিনিসের গিফ্ট প্যাক নিয়ে যান। এতটাই ভরসার এর উপরে। কিন্তু সেই ভরসায় অনেক দিন ধরেই ফাটল ধরছিল। এবং এবার সেই ফাটল বড় বড় হতে বিশ্বাসটিই মিলিয়ে গেল। আমেরিকার আদালতের সিদ্ধান্ত এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।  

কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক চলছে এই পাউডারকে ঘিরে। ওই পাউডারে নাকি অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এই অ্যাসবেস্টস শিশুদের জন্য তো বটেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। আর তা নিয়েই বিতর্ক। 

১৮৯৪ সাল থেকে এই বেবি পাউডার বিক্রি হয়ে আসছে। দীর্ঘ সময় মানুষের অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল এই পাউডার। কিন্তু ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের করেন। তার পর থেকেই ক্রমেই কমতে শুরু করে পাউডারটির চাহিদা। সেই থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই প্রতিকূল হয়েছে। এই মামলাগুলি শেষ করতে এবার ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলারের সমঝোতার প্রস্তাব দিল সংস্থা। ভারতীয় অর্থে যা প্রায় ৭৩ হাজার ৮৬ কোটি টাকার মতো।

যদি শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি অনুমোদন পায়, তাহলে তা হবে মার্কিন ইতিহাসে কোনও পণ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম বৃহৎ অঙ্কের সমঝোতা। ওই অর্থ সমস্ত মামলাকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। সংস্থার তরফে এমনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের মে মাস থেকে আমেরিকা ও কানাডায় এই পাউডারের বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখন থেকেই পরিস্থিতি রীতিমতো ঘোরালো হয়ে উঠেছে। যদিও এই প্রতিষ্ঠানের তরফে কখনও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং তাদের তরফে বলা হয়েছে, কোনও অভিযোগের সপক্ষেই তেমন কোনও মজবুত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

আমেরিকার এক আদালত অবশ্য এই সংস্থাকে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানার ‘সাজা’ দিয়েছিল। আদালতের বক্তব্য ছিল, সংস্থাটি শিশুদের পণ্য নিয়ে রীতিমতো ভুলভাল কাজ করেছে। বিচারক এমনও জানিয়েছিলেন, এই অপরাধের শাস্তি কেবল অর্থের জরিমানাতেই শেষ হয় না। বরং এটি তার চেয়ে বড় মাপের অপরাধ। 

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)