KMC Audit Report on Mid Day Meal: কলকাতা পুরসভার অডিটে মিড ডে মিলের হিসেব মিলছে না, গরমিল লাখ লাখ টাকার

ফের মিড ডে মিল প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক রাজ্যে। মিড ডে মিল বাবদ খরচের হিসেব মিলছে না। আর যা নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্য। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টে স্কুলগুলির মিড ডে মিলের খরচে অসামঞ্জস্য ধরা পড়েছে। গত ৩০ মার্চ প্রকাশ পেয়েছিল পুরসভার এই অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মিড ডে মিল পরিচালনার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তা ‘অতিরিক্ত’। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, মোট ৯৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৫৪৮ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে পুরসভা। (আরও পড়ুন: বিমানের টিকিট কাটার পর কমে গিয়েছে ভাড়া? ফেরত পেতে পারেন টাকা!)

হিসেব বহির্ভূত ভাবে এভাবে প্রায় এক কোটি টাকা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দেওয়া নিয়ে অডিট রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পুরসভার শিক্ষা দফতরের কাছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে অডিট রিপোর্টে। হিসেব বহির্ভূত ভাবে এই অর্থ ব্যয়কে ‘হতাশাজনক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, কলকাতা পুরসভা পরিচালিত ২৫৩টি পুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৮১টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিল রান্নার দেওয়া হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতিতে কর্মবিরতি ডিএ আন্দোলনকারীদের, ভোগান্তি পোহাতে হবে আম জনতাকে?

অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পুর বিদ্যালয়গুলিতে মিড ডে মিল রান্নার জন্য খরচ হওয়ার কথা ছিল ৭৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৩০ টাকা। তবে পুরসভার খরচের খাতায় সেই বাবদ ১ কোটি ৩১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৮ টাকার ব্যয় দেখানো হয়েছে। এদিকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে পুর বিদ্যালয়গুলিতে মিড ডে মিল রান্নার জন্য খরচ হওয়ার কথা ছিল ৭৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩৬৩ টাকা। তবে পুরসভার খরচের খাতায় সেই বাবদ ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৩ টাকার ব্যয় দেখানো হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষেও হিসেবে গরমিল রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, মিড ডে মিল রান্নার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে অগ্রিম টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে কোন খাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে, সেই হিসেব চাওয়া হচ্ছে না বহু বছর ধরেই। এই আবহে অগ্রিম টাকার খরচের হিসেব দ্রুত জমা দিতে বলা হয়েছে পুরসভার শিক্ষা দফতরকে। অডিট রিপোর্টে রয়েছে, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর, করোনাকালে থালা, গ্লাস, বাটি, স্যানিটাইজার বাবদ ১৬ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার জিনিস কেনা হয়েছে। এই আবহে এই খরচের প্রামাণ্য নথি দ্রুত অডিট অফিসে পেশ করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গরমিলের ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের সময়কালে শিক্ষা দফতরের মেয়র পারিষদের দায়িত্বে ছিলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি এখন সড়ক দফতরের মেয়র পারিষদ। এই আবহে অভিজিৎবাবু সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, মিড ডে মিলের খরচের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। এডুকেশন অফিসার এই বিষয়ে জানাতে পারবেন বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে এই সময়কালে এডুকেশন অফিসার ছিলেন রুমানা খাতুন। তিনি বর্তমানে পুরসভার ইনস্টিটিউট অফ আর্বান ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজার পদে রয়েছেন।