Raju Jha murder case: রাজু ঝা খুনে ঝাড়খণ্ডের যোগ! সিন্ডিকেট তৈরির কারণেই কী খুন?

কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনে নয়া তথ্য পেল পুলিশ। এই খুনে ঝাড়খণ্ডের যোগ খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। যে নীল গাড়িতে করে খুন করা হয়েছিল রাজুকে সেই গাড়িটিকে ঝাড়খণ্ডেও দেখা গিয়েছে। ফলে ১২ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) অনুমান, ঝাড়খণ্ডের ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে খুন করা হয়েছিল দুর্গাপুরের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে। শুধু তাই নয়, ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে কয়লা ব্যবসার সিন্ডিকেট তৈরির কারণেই কী রাজু ঝাকে খুন করা হয়েছিল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

দীর্ঘদিন ধরে কয়লা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রাজু। তবে বর্তমানে ইডি সিবিআই যেভাবে তৎপর হয়েছে তাতে আসানসোল দুর্গাপুর কয়লা অঞ্চলে কয়লা মাফিয়াদের কাজে ভাটা পড়েছে। সেই সূত্রে এখন এ রাজ্যের কয়লা মাফিয়ারা ঝাড়খণ্ডে যাচ্ছেন। এরজন্য অনেকে সিন্ডিকেটও তৈরি করছেন সেই সিন্ডিকেট সেখানে অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন করে ঝাড়খণ্ড থেকে এ রাজ্যে যেমন কয়লা আনার পরিকল্পনা করছে তেমনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওই কয়লা রাজ্যে পাঠাতে সিন্ডিকেটের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও পরিকল্পনা করছে। এরজন্য সিন্ডিকেটের একটি বৈঠকও হয়েছে।পুলিশের একটি সূত্র মনে করছে, সেরকম একটি সিন্ডিকেটের মাথায় ছিলেন রাজু। এপ্রিল মাঝামাঝি থেকে ব্যবসা শুরু করার কথা ছিল।

সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড থেকে কয়লা ভর্তি বহু লরি পশ্চিমবঙ্গে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি চালকদের গ্রেফতার করেছে। রাজুদের সিন্ডিকেট এই ধরনের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছিল। ১৬ এপ্রিল থেকে তাদের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। ফলে তাঁর খুনের ঘটনায় সিন্ডিকেট যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, রাজু কয়লা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন আশির দশকে। ক্রমেই তিনি এই চক্রের বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন কয়লা পাচার চক্রের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন জড়িয়ে ছিলেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে রাজুর খুনের কিনারার জন্য আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। এছাড়াও, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন রাজু। পরে তিনি আবার এই চক্রে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ২০১৬ সালে কলকাতা পুলিশ তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার করে। তারপরেও একাধিকবার সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup