TMC: ‘আপনি নাকি বিহারে!’ দিল্লিতে গিরিরাজ সিং-কে দেখে ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে চিঠি তৃণমূলের

বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের ২৫ জন সাংসদ মিলে কেন্দ্রীয় গ্রমোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় মন্ত্রী ছিলেন না মন্ত্রকে। তাঁর সচিব জানিয়েছিলেন, বিহার চলে গিয়েছেন মন্ত্রী। এক সপ্তাহের জন্য ফিরবেন না। কিন্তু তার পর দিন মন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে দিল্লিতে। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনেও তিনি সংসদে এসেছিলেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এ ধরনের আচারণের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-কে চিঠি দিল তৃণমূল।

তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের লেখা এই চিঠিতে বলা হয়েছে,’আপনার সচিব বলেছিলেন আপনি বিহারে চলে গিয়েছেন এক সপ্তাহের জন্য। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে খেয়াল করি, আপনি দিল্লিতেই রয়েছেন। আমাদের সাংসদরাও আপনাকে লোকসভায় দেখতে পেয়েছেন এবং সংসদে আপনার কাছে তাঁরা দাবিদাওয়া জানিয়েছেন। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সচিবালয়ের কাছে এই ধরনের আচারণ আশা করা যায় না।’

১০০ দিনের কাজ বাবদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে ৭ হাজার কোটি টাকা পাওয়া । তৃণমূলের অভিযোগ কোনও কারণ ছাড়াই এই টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। একাধিক বার তৃণমূল সাংসদরা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে টাকা দাবি করেছেন। এমন কী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই টাকা দাবি করেন।

বুধবার তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রীকে না পেয়ে সচিবের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবির কথা বলেন। সচিব জানান, গ্রমোন্নয়ন মন্ত্রী বিহারের গিয়েছেন এক সপ্তাহ পরে ফিরবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবারই সাংসদে হাজির হন মন্ত্রী। তাঁকে দেখে একাধিক প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথপোকথন ছিল কিছুটা এইরকম:

সুদীপ: আপনি নাকি বিহারে গিয়েছিলেন?

গিরিরাজ সিং: বিহার থেকে দিল্লি আসতে আর কতক্ষণ লাগে।

সুদীপ: আপনি আমাদের সঙ্গে দেখা করলেন না কেন?

গিরিরাজ সিং: আপনারা বকেয়া টাকার যে হিসাব আমাদের দিয়েছেন তাতে অসঙ্গতি রয়েছে।

সুদীপ: সেটা তো আলোচনার টেবিলে বসেই মিটিয়ে নেওয়া যেত।

এই কথপোকথনে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। তার পরই মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করে তৃণমূল।