প্রেমিকাকে না পেয়ে শীতলকুচিতে মেধাবী ছেলেটা খুন করল তিনজনকে? ঠিক যেন সুতপাকাণ্ড

শীতলকুচির খুনের ঘটনা একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বাংলাকে। এই ঘটনার জেরে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে বহরমপুরের সেই সুতপা খুনের ঘটনার কথা।

তবে শীতলকুচিতে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিভূতি রায় নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সে যে এভাবে তিনজনকে কুপিয়ে খুন করতে পারে তা কিছুতেই বুঝতেই পারছেন না প্রতিবেশীরা। প্রসঙ্গত শুক্রবার শীতলকুচিতে তিনজনকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল বিভূতি নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু কে এই বিভূতি?

হাসপাতালের বেডে শুয়ে সে ইতিমধ্য়েই জানিয়েছে ওই বাড়ির মেয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল তার। কিন্তু ইদানিং ওই মেয়ে আর তাকে পাত্তা দিত না। সেই রাগেই এই খুন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিভূতির বাবা বীরেন্দ্রনাথ বর্মন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। বিভূতির বাবা দিনহাটার কৃষিমেলা এলাকায় থাকেন। আর বিভূতির মা মেয়েকে নিয়ে মাথাভাঙায় ভাড়াবাডি়তে থাকত।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিভূতি বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করত। অনার্সও ছিল। মেধাবী ছাত্র বলেই পরিচিত ছিল সে। কিন্তু ইদানিং কলেজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। এদিকে যে বাড়ির মেয়ের সঙ্গে সে প্রেম করত বলে দাবি করেছে সেখান থেকে কয়েকটি বাড়ি পরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত বিভূতি। সেখানে আরও কয়েকজন যুবক থাকতেন। আসলে সেখানে থেকে তারা চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতেন। আর তার ফাঁকেই কি প্রেম?

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তবে কি এর সঙ্গে ত্রিকোণ প্রেমের কোনও ব্যাপার রয়েছে? তবে গোটা ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা। কিছুতেই তারা এই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না। ভদ্র, মেধাবী ছেলেটা কেন এভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল সেই প্রশ্ন তুলছেন প্রতিবেশীরা।

তবে প্রেমের টানাপোড়েন নিয়ে বিভূতির কিছু সমস্যা সম্প্রতি কয়েকজনের নজরে এসেছিল। কিছু ক্ষেত্রে সে মনমরা হয়ে থাকত বলে খবর। তবে সে যাদের সঙ্গে থাকত তাদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। তার মধ্য়ে কোথাও কোনও অস্বাভাবিকত্ব ছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।

তবে এই ঘটনার মধ্য়ে অনেকেই সুতপাকাণ্ডের ছায়া দেখছেন। বহরমপুরের সুতপা চৌধুরীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পড়াশোনায় ভালো সুশান্ত একেবারে প্রকাশ্যে সুতপাকে খুন করেছিল। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল সেই ঘটনা। তা দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা বাংলা। তবে কি এবার সেই সুতপাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হল কোচবিহারের শীতলকুচিতে।