Arrest: অসমের বরপেটা থেকে গ্রেফতার তিন PFI নেতা, এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিল

বিশ্ব কল্যাণ পুরকায়স্থ

চরমপন্থী ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হল অসমের বরপেটা থেকে। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পিএফআইকে (PFI)। তারা ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তারা। অসমের বরপেটা জেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

বরপেটা জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ সিনহা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পিএফআই নেতারা গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তবে তারা সম্প্রতি ফের জেলাতে ফিরেছিল। ফের তারা গোপনে দলের কাজ শুরু করছিল। তখনই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, গত বছর সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তখনই তাদের মধ্য়ে দুজন গা ঢাকা দিয়েছিল। আমাদের রিপোর্ট অনুসারে তারা অসম ছেড়ে পালিয়েছিল। এরপর গত ৬ এপ্রিল তারা ট্রেনে চেপে ফিরে আসে। এরপর নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বরপেটা রেল স্টেশন থেকে তাদের ধরে ফেলি।

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সরকার আনলফুল অ্য়াক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্টে পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ধৃতদের নাম জাকির হোসেন, আবু সাদ্দাম, জহিদুল ইসালম।জাকির ছিলেন পিএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক। জহিদুল ছিলেন সিএফআইয়ের জাতীয় কোষাধক্ষ্য। আবু সাদ্দামও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এনিয়ে দ্বিতীয়বার পিএফআই নেতাদের ধরপাকড় করা হল। গত বছর আরও তিনজন ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরে তাদেরতে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সাদ্দামকে আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। এবার দেখা গিয়েছে তিনি পিএফআইয়ের কিছু রাডিকাল কাজকর্মে যুক্ত রয়েছেন। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বরপেটাতে ধীরে ধীরে PFI নেতারা ফিরতে শুরু করেছেন। মূলত সংগঠনকে সম্প্রসারিত করার জন্য তারা ফিরতে শুরু করেছেন। আর তখনই পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়ে গেল।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। লোকাল কেউ যুক্ত কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। যারা এই তিনজনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত তাদের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে নগদ টাকা, কিছু গেজেট, ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ও অন্যান্য কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। তারা এতদিন অন্য জায়গা থেকে অসমে সংগঠনের কাজ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সবটাই খতিয়ে দেখছে।