Babul Supriyo: অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেও ‘দাঙ্গাবাজ’ তকমা মিলেছিল! ইফতারে গিয়ে আপ্লুত বাবুল

বালিগঞ্জে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে শুক্রবার ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলেন পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মে ফেয়ার রোডে পঞ্জাব ভবনে এই ইফতার পার্টির উদ্যোক্তা ছিল বালিগঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেস। সস্ত্রীক পর্যটনমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মালা রায়, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ও পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন পর্যটন মন্ত্রী। পরের দিন একের পর তিনি বলতে চেয়েছেন, সম্পূর্ণ অসাম্প্রয়াদিক হওয়া সত্বেও তাঁকে ‘দাঙ্গাবাজ’ তকমা পেতে হয়েছে।

বাবুল লিখেছেন,’ আমি বিজেপিতে চলে গিয়েছিলাম। বাঙালি বিদ্বেষী গেরুয়া দল আমাকে আমার প্রাপ্য পদোন্নতি দেয়নি। একজন বাঙালিকে বঞ্চিত ও পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি খুশি, যে আমি এ সব কিছুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছি।’

এর পর তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মন্ত্রী লিখেছেন,’কিন্তু জীবনের একটা নিজস্ব পথ আছে যখন আপনি আত্মসম্মানের জন্য সব কিছু ছেড়ে দিতে পারেন। সর্বশক্তিমান জনসাধারণের অপমানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন। যখন আমার মোহভঙ্গ হয়ে সব কিছু ছেড়ে দিয়েছিলাম, তখনই আমাকে মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার রাজনীতিতে আসার জন্য জনসেবা করার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। আসানসোল এর সাক্ষী, সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা সত্বেও আমাকে ‘দাঙ্গাবাজ’ তকমা পেতে হয়েছে।’

(পড়তে পারেন। মন ভেঙে খান খান? পার্কিং ফি বিতর্কের পরে পরপর কর্মসূচি বাতিল ফিরহাদের)

মানসিক ভাবে আহত হয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে উদ্দেশ্য করে নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্যে। বাবুল লিখেছেন,’বালিগঞ্জ নির্বাচনে নিজের ভাইঝি হয়ে প্রচারে এসে আমাকে ‘বিলো দ্য বেল্ট’ আঘাত করেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। আমি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিলাম। আজ আমি গায়ক হিসাবে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘু, সবার কাছ থেকে ভালোবাসা, বিশ্বাস, গ্রহণযোগ্যতা ফিরে পেয়ে খুশি ও সন্তুষ্ট। অভ্যন্তরীণ শান্তির চেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই।’