Signboard in Local Language in Shops: দোকানের সাইনবোর্ড হতে হবে স্থানীয় ভাষায়, নয়ত ২৫ হাজার পর্যন্ত জরিমানা এই রাজ্যে

সব দোকানের সাইনবোর্ড হতে হবে ওড়িয়ায়। না হলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করার নির্দেশ রাজ্য সরকারের। এই নিয়ে সেই রাজ্যের সব জেলায় লেবার অফিস এবং পুরসভাগুলির আধিকারিকদের নির্দেশিকা পাঠিয়েছে সরকার। লেবার অফিস এবং পুরসভাগুলিকে দেখতে বলা হয়েছে যাতে সব দোকানে বড় বড় করে ওড়িয়া ভাষায় সাইনবোর্ড থাকে। আইন ভঙ্গ হলেই সংশ্লিষ্ট দোকান থেকে ২৫ হাজার টাকার জরিমানা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেই একটি আইন এনে সেই রাজ্যের সব দোকানে ওড়িয়া সাইনবোর্ড বাধ্যতামূলক করেছিল নবীন পট্টনায়েক সরকার। (আরও পড়ুন: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব ঢপবাজি, ডিএ দিতে গেলে সব বন্ধ হয়ে যাবে’)

ওড়িয়া ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সত্যব্রত সাহুর সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয় সম্প্রতি। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যে দোকানদার যারা ওড়িশা দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (সংশোধন) আইন, ২০১৮ লঙ্ঘন করবে তাদের প্রথমে সাত দিন সময় দেওয়া হবে। এই সাতদিনের সময়সীমার মধ্যে যদি তারা সাইনবোর্ড বদল না করে, তাহলে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। যদি তারপরও সাইনবোর্ড বদল না করা হয়, তাহলে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে দোকানদারকে। এদিকে এই আইন নিয়ে বিরোধী বিজেপি ও কংগ্রেসের কোনও আপত্তি না থাকলেও তাদের অভিযোগ, সরকার এই আইনকে কার্যকর করার বিষয়ে বেশি তৎপর নয়।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ডিএ ধরনা নিয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের শর্ত, আজই রওনা দেবেন সরকারি কর্মীরা

উল্লেখ্য, ওড়িশা দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (সংশোধন) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী, যেকোনও ভাষাতেই দোকানের সাইনবোর্ড রাখা যাবে, তবে ওড়িয়ায় স্পষ্ট ও বড় বড় অক্ষরেও সেই দোকানের নাম থাকতে হবে সাইনবোর্ডে। এদিকে শুধু ওড়িশা নয়, দোকানের সাইনবোর্ডে স্থানীয় ভাষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পঞ্জাব, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যেও। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পঞ্জাবে এই আইন কার্যকর করে ভগবন্ত মানের সরকার। গতবছর মহারাষ্ট্র সরকার এই আইন কার্যকর করেছিল। কর্ণাটকে এই আইন ২০১৮ সাল থেকেই কার্যকর রয়েছে। এদিকে তামুলনাড়ুতে সেই ২০১০ সাল থেকেই দোকানের সাইনবোর্ডে স্থানীয় ভাষা থাকা বাধ্যতামূলক।