Ajit Pawar on Narendra Modi: আদানি নিয়ে শরদের বাউন্সারের পর মোদী ম্যাজিকে ‘মুগ্ধ’ ভাইপো অজিত পাওয়ার!

কয়েকদিন আগেই বিরোধীদের থেকে ভিন্ন সুরে আদানি ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিজেপির মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। এবার শরদ পাওয়ারের ভাইপো তথা মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা অজিত পাওয়ারের গলায় শোনা গেল নরেন্দ্র মোদীর প্রতি প্রশংসা। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে তিনদিনের জন্য উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়া অজিত পাওয়ার গতকাল বলেন, ‘একাধিক বিরূপ মন্তব্য সত্ত্বেও ২০১৯ সালে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকারে ফিরেছে। তারা তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই আবহে মোদীর পাশেই দাঁড়ান দ্বাদশ পাশ কলেজ ড্রপআউট অজিত পাওয়ার। (আরও পড়ুন: ‘মার যাবে’ বিপুর অঙ্কের ঋণ? আদানি নিয়ে বড় আপডেট দিল SBI)

অজিত পাওয়ার বলেন, ‘২০১৪ সালে মোদীর নামে ভোট চেয়েই সরকারে এসেছিল বিজেপি। এরপর দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে তাদের সরকার। জেতার পর মোদীর বিরুদ্ধে বহু মন্তব্য করা হয়েছিল। তবে মোদী নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে সরকার গঠন করেছে। ২০১৯ সালে বিজেপি ফের কেন্দ্রে সরকারে ফিরে আসে। এটা যদি মোদী ম্যাজিক না হয়, তাহলে কোনটা? এদিকে রাজনীতিতে পুঁথিগত শিক্ষার ততটা দাম নেই।’ উল্লেখ্য, অজিত পাওয়ার নিজে কলেজে ভরতি হয়েছিলেন, তবে বাবার মৃত্য পারিবারিক কারণে নিজে মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এহেন নেতা এবার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্কে মোদীর পাশেই দাঁড়ালেন।

আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে, পাহাড়ি রাস্তায় ২১২ কিমি পথ যাওয়া যাবে ২ ঘণ্টায়

এদিকে ইভিএম ইস্যুতেও অজিত পাওয়ার বিরোধীদের থেকে ভিন্ন সুরে কথা বলেন এদিন। শরদ পাওয়ারের ভাইপো বলেন, ‘যদি ইভিএম-এ ত্রুটি থাকত, তাহলে ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, পঞ্জাব, কেরল, তামিলনাড়ুর মতো ৯ রাজ্যে বিরোধীদের সরকার থাকত না। আমাদের দেশে ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব নয়, কারণ সব মিলিয়ে এটা একটা খুব বড় প্রক্রিয়া। অনেক পরীক্ষা হয় এই ক্ষেত্রে। ভারসাম্য বজায় রেখেই এই প্রক্রিয়া চালানো হয়। যদি কোনওভাবে এটা প্রমাণিত হয় যে ইভিএমে কারচুপি করা যায়, তাহলে দেশজুড়ে একটা বড় গণ্ডগোলের সৃষ্টি হবে। আমি মনে করি না যে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটানোর সাহস বা স্পর্ধা কারও আছে। অনেক সময়ই প্রার্থীরা নির্বাচনে হেরে গিয়ে মনে করেন যে তাঁদের পরাজয় অসম্ভব। তখনই তাঁরা ইভিএমের নামে অভিযোগ করতে শুরু করেন। কিন্তু, বাস্তবে ইভিএমে মানুষের প্রকৃত রায়দানের ফলাফল প্রতিফলিত হয়।’