ইরানের মেয়েরা পোশাক আইন মানছে কিনা জানার জন্য স্মার্ট ক্যামেরা

নারীরা পোশাকবিধি মানছেন কিনা তা নজরদারিতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার ঘোষণা করেছে ইরানের কর্তৃপক্ষ৷ এর মাধ্যমে আইন অমান্যকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে পুলিশ৷ যেসব নারী জনপরিসরে পোশাকবিধি মানবেন না তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে বসানো স্মার্ট প্রযুক্তি ও ক্যামেরা দিয়ে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইরানের পুলিশ৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইন অমান্যকারীকে ছবিসহ প্রমাণ পাঠিয়ে সতর্কবার্তা এবং পুনরায় আইনভঙ্গের পরিণাম সম্পর্কে অবহিত করা হবে৷

ইরানের পুলিশ প্রধান আহমাদ রেজা রাদান রাষ্ট্রীয় টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পরবর্তী শনিবার থেকে যারা পর্দা করবেন না তাদের স্মার্ট যন্ত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে৷’ হিজাব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কারণে ইরানের ধর্মীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়া এবং নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে চলায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে পুলিশ৷ ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা খবরটি প্রচার করেছে৷

গত সেপ্টেম্বরে পুলিশের হাতে আটক হওয়া ২২ বছর বয়সি কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর ধর্মীয় পোশাকের বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন ইরানের নারীরা৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহিংস উপায়ে সেই আন্দোলন দমন করলেও অনেক নারী এখনও জনপরিসরে পোশাকের বাধ্যবাধতা না মেনে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ সামাজিক মাধ্যমে এমন অনেক ছবি, ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে৷

বিবৃতিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে, সামাজিক রীতি যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা তারা যাতে তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখভাল করে৷ ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর ইরানে শরিয়া আইনে নারীদের পোশাকের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়৷ আইন অনুযায়ী জনসম্মুখে তাদের চুল ঢাকা এবং এমন লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে যাতে শরীরে অবয়ব প্রকাশিত না হয়৷ আইন অমান্যকারীদের জরিমানা ও গ্রেফতারের বিধান রয়েছে৷

এদিকে শনিবার নতুন করে আরদাবি শহরের কয়েকটি স্কুলের ছাত্রীরা সন্দেজনক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন৷ চলতি বছরের শুরুতেও এমন একাধিক ঘটনায় কয়েকশো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হন৷