পাল্টা আক্রমণ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনছে ইউক্রেন

যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁসের ঘটনায় রুশবিরোধী পাল্টা আক্রমণ পরিকল্পনার কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেন। সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার রয়টার্সকে বলেছিলেন, কথিত ফাঁস হওয়া নথিতে কাল্পনিক তথ্য রয়েছে এবং এটি রাশিয়ার একটি বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মতো দেখাচ্ছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা থেকে ইসরায়েলের মোসাদ গুপ্তচর সংস্থার বিস্তৃত বিষয়ের বিশদ বিবরণসহ ফাঁস হওয়া নথির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। রয়টার্স স্বাধীনভাবে নথির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সহযোগী মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ পরিকল্পনা মৌলিকভাবে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কৌশলগত পরিকল্পনা সবসময় পরিবর্তনীয়।

রয়টার্সকে পোডোলিয়াক বলেন, কৌশলগত কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো অপরিবর্তনীয়। কিন্তু আভিযানিক ও পরিস্থিতির চাহিদা অনুসারে কিছু কৌশল ক্রমাগত পরিমার্জিত হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতির মূল্যায়ন, সম্পদের ব্যবস্থা, শত্রুর সম্পদের ওপর গোয়েন্দা তথ্য ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে।

তিনি আরও বলেন, এখনই পরিকল্পনাগুলো পুনর্মূল্যায়ন করা অসম্ভব, কারণ সেগুলো কাজ শুরু হয়েছে মাত্র।

ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেক্সি ড্যানিলভ বলেছেন, আমরা আমাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। যাদের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই তাদের মতামত নিয়ে আমাদের আগ্রহ নেই। তথ্য আদান-প্রদানের অধিকার থাকা লোকজনের সংখ্যা খুব সীমিত।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন এই নথি ফাঁসের উৎস হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা মাইকেল মুলরয় বলেছেন, এখন ফোকাস হচ্ছে এটি একটি মার্কিন ফাঁস হওয়ার দিকে, কারণ অনেক নথি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ছিল।

এখন মূল মনযোগ হচ্ছে ফাঁস যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে কিনা সেদিকে, কারণ অনেক নথি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে হাতে ছিল।  সূত্র: রয়টার্স