মাঝরাতে ফোন করে জেলাশাসক বললেন, ২টো আসন বাদ দিয়ে বাকিগুলো করে দিয়েছি: শুভেন্দু

গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে ভোটলুঠের দায়িত্বে অন্যতম ছিলেন তিনি। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক জনসভায় একথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কালিয়াগঞ্জে এক জনসভায় গত পঞ্চায়েতে জেলায় কী করে ভোট লুঠ হয়েছে তার বিবরণ দিয়ে গিয়ে বেফাঁসে সেকথা বলে ফেলেন শুভেন্দু।

এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘ঠেকিয়ে আপনারা দিয়েছিলেন। এখানে মনোনয়ন হয়েছিল আশি ভাগ জায়গায়। গণনাকেন্দ্রে লুঠ হয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ২৬টার মধ্যে আপনাদেরকে ২টো দেওয়া হয়েছে মাত্র। আপনারা জিতেছেন ৮ – ১০টাতে। কেন বলছি বলুন তো। মাঝরাতে আয়েশা রানির ফোন। বলছে, স্যার, ২টো ছেড়ে বাকিটা করিয়ে দিলাম। সব গণনাকেন্দ্র লুঠ হয়েছে। পদ্মফুলের বান্ডিলকে জোড়াফুল দেখিয়ে এই জেলার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন আগের জেলাশাসক আয়েশা রানি। আর এখন তৃণমূলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এই জেলার জেলাশাসক অরবিন্দ মিনা’।

শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে আয়েশা রানিকে ভোটলুঠের নির্দেশ দিয়েছিল কে? হঠাৎ মাঝরাতে শুভেন্দুবাবুকে ফোন করে কেন তৃণমূলের জয়ের কথা জানাতে গেলেন তৎকালীন জেলাশাসক? এর আগে ঝাড়গ্রাম ও পুরুল্যাতেও একই ধরণের মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু। সেক্ষেত্রেও কার নির্দেশে ভোটলুঠ হয়েছে তার নাম বললেননি বিরোধী দলনেতা।