Myanmar Airstrike kills 100: ভারতের পড়শি দেশে সাধারণ মানুষের ওপর এয়ারস্ট্রাইক সেনার, মৃত বহু শিশু সহ অন্তত ১০০

কয়েক বছর আগেই গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছিল দেশটিতে। ক্ষমতার দখল নিয়েছিল সেনা। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদকে জেলে ভরেছিল সেনা। সেই সেনাই এবার দেশের জনগণের ওপর নির্বিচারে হামলা চালাতে শুরু করেছে। মায়ানমারে এর আগেও সাধারণ নাগরিকের ওপর গুলি চালিয়ে বিশ্ব নেতাদের নিন্দার মুখে পড়েছে সেদেশের সেনা। এবার সাধারণ মানুষের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে মানকিতার নরকে পৌঁছে গেল সেদেশের সেনা। ঘটনাটি ঘটেছে মায়ানমারের সাগাইং এলাকায়। আকাশপথে হামলা চালানো হয় সেখানকার সাধারণ মানগিরকেদর ওপর। এতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। মৃতদের অনেকেই শিশু। এই আক্রমণের দায় স্বীকার করে নিয়েছে মায়ানমারের মিলিটারি জুন্টা সরকার। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের মুখে ফুটস হাসি, বেতনবৃদ্ধি নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের)

সামরিক জুন্টা সরকারের বিরোধিতায় একটি অনুষ্ঠান হচ্ছিল সাগাইং এলাকায়। সেখানেই আচমকা এয়ারস্ট্রাইক করা হয়। আকাশ থেকে মৃত্যু নেমে আসে সাধারণ মানুষের ওপর। এই ঘটনার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে জুন্টার মুখপাত্র জাও মিন টুন ঘটনার দায় স্বীকার করেন। তিনি জানান, সকাল ৮টা নাগাদ পাজি গাই গ্রামে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই হামলা চালানো হয়। তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে অনেকে শাসক-বিরোধী ইউনিফর্ম পরেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বাসিন্দা। এদিকে হামলা প্রসঙ্গে জাও মিন টুমের ‘সাফাই’, ‘মানুষ যে শুধুমাত্র আমাদের আক্রমণে মারা গিয়েছে তা নয়। ওই জায়গায় অনেকগুলি মাইন পুঁতে রেখেছিল পিডিএফ। সেগুলির বিস্ফোরণের জেরে দুর্ঘটনা ঘটে।’

আরও পড়ুন: ১০০০ টাকার কমে ৪২৮কিমি পথ পাড়ি, লাগবে সোয়া ৫ ঘণ্টা, জানুন নয়া বন্দে ভারতের বিশদ

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছিল মায়ানমারে। আং সান সু কি-র নির্বাচিত সরকারের থেকে ক্ষমতা কেড়ে মসনদে বসে সামরিক জুন্টা বাহিনী। সেই সময় থেকে তিন হাজারেরও বেশি নাগরিক এই বাহিনীর আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। এই আবহে এই এয়ারস্ট্রাইক নতুন করে মায়ানমারের নির্দয় শাসকদের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিশ্বের। হামলার সময় ঘটনাস্থলে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী একটি সংবাদসংস্থায় জানান, একটি ফাইটার জেট এসে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ শুরু করে। প্রসঙ্গত, এই জায়গায় সামরিক জুন্টা শাসকের বিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স তাদের আঞ্চলিক কার্যালয় খুলেছিল বলে জানা গিয়েছে। তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলয আর তার আগেই হামলা চালিয়ে কমপক্ষে একশো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল সামরিক শাসক।