ম্যাক্রোঁর মন্তব্যে বিভ্রান্ত তাইওয়ান

তাইওয়ান প্রসঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন তাইওয়ানি পার্লামেন্টের স্পিকার ইউ সী-কুন। ফরাসি বিপ্লবের মূলমন্ত্র ‘স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। 

তাইওয়ান প্রসঙ্গে ইউরোপকে ভিন্ন অবস্থান নিতে বলেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছিলেন, তাইওয়ান নিয়ে সংকটের তীব্রতা বাড়াতে আগ্রহ নেই ইউরোপের। ব্লকটির উচিত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নীতির বাইরে গিয়ে তাইওয়ান ইস্যুতে স্বাধীন অবস্থান গ্রহণ করা।

ম্যাক্রোঁর এমন মন্তব্যে তাইওয়ানের স্পিকার ইউ সী-কুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব কি তবে এখন ফ্যাশন বহির্ভুত?’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের কোনও একটি অংশ উপেক্ষা করা কি উচিত? নাকি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে অন্য দেশের মানুষের জীবন ও মৃত্যু কোনও বিষয় নয়? ফরাসি প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য আমাকে বিভ্রান্ত করছে।’

সম্প্রতি তিন দিনের চীন সফর শেষে ফ্রান্স ফিরেছেন ম্যাক্রোঁ। সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান তিনি। সফরে থাকা অবস্থায় এই মন্তব্য করেছিলেন ম্যাক্রোঁ।

এমন মন্তব্যের জেরে ইউরোপের দেশগুলোতেও তোপের মুখে পড়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। মন্তব্যের মাধ্যমে ম্যাক্রোঁর তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া হালকাভাবে দেখার অভিযোগ করছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর রাজনৈতিক নেতারা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ক্যাভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তাইওয়ানি নেতা সাই ইং-ওয়েনের বৈঠকে ক্ষুব্ধ হয়ে এই মহড়া শুরু করে বেইজিং।

গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। দ্বীপ রাষ্ট্রটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে শক্তি প্রয়োগের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং। চীনের এই দাবির কঠোর বিরোধিতা করে আসছে তাইওয়ানের সরকার।

সূত্র: রয়টার্স