Government App Cab: এবার সরকারি অ্যাপ ক্যাব চালু হতে চলেছে, রাজ্যে প্রথম এমন পরিষেবা মিলবে কবে?

বাংলায় সরকারি পরিচালনায় অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা চালু হতে চলেছে। দেশে এই প্রথম কোনও রাজ্য সরকার এমন উদ্যোগ নিচ্ছে। বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির পরিষেবা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বাড়তি ভাড়া আদায়, সন্ধ্যা হয়ে গেলে বা সামান্য বৃষ্টিতে তিন থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া হাঁকার অভিযোগ তোলেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে যাত্রী নিরাপত্তা, চালকদের সামাজিক নিরাপত্তা–সহ যাবতীয় নিয়মকানুন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের দাবি ছিল, এই ‘অন্যায়’ ঠেকাতে সরকার হস্তক্ষেপ করুক। সুতরাং বেসরকারি অ্যাপ–ক্যাবদের দুর্ব্যবহার এবং যথেচ্ছ ভাড়ার দিন এবার শেষ হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় কলকাতার বুকে খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে এই সরকারি অ্যাপ–ক্যাব পরিষেবা।

এদিকে রাজ্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর একটি অ্যাপ তৈরি করে ফেলেছে। তার মাধ্যমে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কম ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। এই বিষয়ে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিব রাজীব কুমারের সঙ্গে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর একটি বৈঠক হয়। মুখ্যসচিব প্রকল্পটি অনুমোদন করেছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। তার ভিত্তিতে এই সরকারি অ্যাপ কয়েকটি হলুদ ট্যাক্সিতে ইতিমধ্যেই ‘ইনস্টল’ করা হয়েছে। শিয়ালদা, হাওড়া, কলকাতা রেল স্টেশন এবং দমদম এয়ারপোর্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে সরকারি অ্যাপ ক্যাব।

কবে থেকে মিলবে পরিষেবা?‌ অন্যদিকে আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। তাতে রাজ্যবাসী অনেকটা কম খরচে যাতায়াত করতে পারবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, বেসরকারি অ্যাপ ক্যাবে সার্জ–সহ কোনও ভাড়া ১০০ টাকা হলে সরকারি ক্যাবে তা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা উঠবে। হলুদ ট্যাক্সির মূল ভাড়ার উপর ৫ থেকে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্য যুক্ত করে সরকারি অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে। পরে নন–এসি হলুদ ট্যাক্সিগুলিতে এসি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?‌ বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০২১ সালের মার্চ মাসে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছিল পরিবহণ দফতর। কিন্তু তার অধিকাংশ সুপারিশই মানছে না বেসরকারি সংস্থাগুলি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি পরিবহণ মন্ত্রী ও সচিব সংস্থাগুলিকে বৈঠকে ডেকে যাবতীয় বিধি মেনে চলার বার্তা দিলেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ‘শিক্ষা’ দিতে রাজ্য সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই একাধিক ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করে সেগুলিকে প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।