Income Tax Tips for employees: এপ্রিলের মধ্যে আয়কর নিয়ে কোম্পানিতে জানাতে হবে এই তথ্য, নাহলে হাতে আসবে কম বেতন!

নয়া অর্থবর্ষের প্রথম মাসটা বেতনভোগীদের জন্য অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটতে চলেছে। এবার যেহেতু নয়া আয়কর কাঠামো কার্যকর হয়েছে (বাধ্যতামূলক নয়), সেজন্য বেতনভোগীদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে। একটু অসতর্কতার কারণে পুরো ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মাথা চাপড়াতে হবে। সেই পরিস্থিতিতে কর বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, যাঁরা পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান, তাঁদের এপ্রিলের মধ্যেই নিজেদের কর্মরত সংস্থায় সেই বিষয়টি জানিয়ে দিতে হবে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও করদাতা নির্দিষ্টভাবে না জানান যে তিনি পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান, তাহলে নয়া আয়কর কাঠামোয় থাকতে হবে। কারণ সেটাই ‘ডিফল্ট অপশন’। সেক্ষেত্রে পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় প্রাপ্ত একাধিক ছাড় মিলবে না।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইতিমধ্যে কর্মীদের জন্য ‘ট্যাক্স ডিক্লারেশন ফর্ম’ দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংস্থা। নয়া অর্থবর্ষের প্রথম বেতন টিডিএস (ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স) কাটার আগেই এপ্রিলের মধ্যে কর্মীদের জানিয়ে দিতে হবে যে তাঁরা কোন আয়কর ব্যবস্থার আওতায় থাকতে চান। যদি কেউ সেটা নির্দিষ্টভাবে না জানিয়ে দেন, তাহলে তিনি নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান বলে ধরে নেওয়া হবে। সেইমতো টিডিএস কেটে নেওয়া হবে। যে টিডিএস কাটা হবে, সেটা তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে।

আরও পড়ুন: PPF থেকে FD, আয়কর বাঁচাতে এই ৬টি বিনিয়োগ অবশ্যই মাথায় রাখুন

ধরা যাক, কোনও কর্মী নিজের সংস্থাকে নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন না যে তিনি পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান। বরং আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময় তিনি পুরনো আয়কর কাঠামো বেছে নেবেন বলে ঠিক করেছেন। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি তখনও আয়কর আইনের ৮০সি ধারা, ৮০ডি ধারার আওতায় যে ছাড় (ডিডাকশন) মেলে, সেটা পেতে পারেন (নিজের সংস্থাকে না জানিয়েও)। কিন্তু কয়েকটি বিষয় আপনার বেতন কাঠামোর মধ্যে না থাকলে সেগুলির ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন না।  

কীরকম হবে বিষয়টি? 

ধরা যাক, সাগ্নিক নামে এক বেতনভোগী নির্দিষ্টভাবে নিজের কোম্পানিকে জানালেন না যে তিনি পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে যান। অর্থাৎ নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় তাঁর কর হিসাব করবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। নয়া আয়কর কাঠামোয় যেহেতু কোনও করছাড়ের বিধান নেই, তাই সাগ্নিকের বেতন কাঠামোয় হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স (HRA), লিভ ট্রাভেল অ্যালোওয়েন্সের (LTA) মতো বিভিন্ন বিষয় থাকবে না। সেইমতো সাগ্নিকের থেকে টিডিএস কেটে নেবে কোম্পানি। কিন্তু পরে সাগ্নিক অনুভব করলেন যে HRA দেখিয়ে করছাড় নিতে চান।

আরও পড়ুন: New IT Rules From April 1: আজ থেকে আয়করের এই নিয়মগুলি বদলে গেল, অবশ্যই জেনে রাখুন

কিন্তু সেই সুযোগ পাবেন না সাগ্নিক। কারণ বেতন কাঠামো তৈরির সময় নিজের কোম্পানিকে বলে দেননি যে তিনি পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান। যদি তিনি নির্দিষ্টভাবে নিজের কোম্পানিকে বলে দিতেন যে পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান, তাহলে হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্সের ছাড়টা নিতে পারতেন। লিভ ট্রাভেল অ্যালোওয়েন্সের ক্ষেত্রেও ছাড় পেতে গেলে সাগ্নিককে সেই কাজটাই করতে হত।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ মিন্ট’-এ নিমিত কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠাতা ও চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নীতেশ বুদ্ধদেবের কলামের ভিত্তিতে অনুলিখিত।)

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)