বেড়ানোর সঙ্গে মাছ ধরার ব্যবস্থা, গজলডোবার ভোরের আলোতে ভেস্তে গেল প্রকল্প

শিলিগুড়ির গজলডোবাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়ে বা ডুয়ার্সে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা অনেক সময় এই পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি নিজেও ভোরের আলোতে এসে থেকেছেন। সেই পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে ফিশিং ডেক তৈরির ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গিয়েছে সেই বিশেষ প্রকল্প। এবার জেনে নেওয়া যাক ফিসিং ডেক ব্যাপারটি কী?

আসলে মৎস্য ধরিব খাইব সুখে এই আপ্ত বাক্যটি বাঙালির জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আর সেই বেড়ানোর সঙ্গে মাছ ধরার বিষয়টি জুড়ে দিতে চেয়েছিল পর্যটন দফতর। বিদেশে এমনকী দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে এই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে একটি দিঘি বা পুকুরকে কেন্দ্র করে মাছ ধরার ব্যবস্থা থাকে। সেখানেই পর্যটকরা জড়ো হন। অলস সময় কাটান। মাছ ধরেন। সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। তেমনই ফিশিং ডেক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখনই তা বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না। কিন্তু কেন এই প্রকল্প শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ দেওয়া যাচ্ছে না?

সূত্রের খবর, ভোরের আলোতে ফিসিং ডেক তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যটন দফতর এই টেন্ডার আহ্বান করে। ২৭ মার্চ সময়সীমা ধার্য করা হয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেখা যায় এনিয়ে কেউই কাজ করতে আগ্রহ দেখায়নি। ৯ লাখ টাকায় এই কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।

ভোরের আলোতে একটি ভিভিআইপি কটেজ রয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী অতীতে থেকেছেন। তার পাশের একটি বড় পুকুরে পর্যটকদের জন্য মাছ ধরার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে ভাবা হয়েছিল। লোহা ও কংক্রিট দিয়ে সেখানে মাছ ধরার পাটাতন তৈরির কথা ভাবা হয়েছিল। সেখানেই মাছ ধরার সুযোগ পেতেন পর্যটকরা।একদিকে মাছ ধরার সুযোগও মিলবে। আবার অন্য়দিকে ভোরের আলোতে বসে অলস সময়ও কাটানো যাবে। মোটের উপর প্রকৃতির মাঝে কয়েকদিন কাটিয়ে দেওয়ার সুযোগ মেলে ভোরের আলোতে। তার সঙ্গেই যুক্ত হয়েছিল মাছ ধরার পরিকল্পনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোড়াতেই ভেস্তে গেল পরিকল্পনা।

পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ২০০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই পর্যটনকেন্দ্র। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে। ভোরের বেলা এই জায়গা আরও অপরূপ হয়ে ওঠে। এখানে থাকার মতো একাধিক কটেজ রয়েছে।