Arrested Culprits: ভুয়ো টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালানোর অভিযোগ গ্রেফতার ৬, বড় সাফল্য পেল এসটিএফ

‌এবার ভুয়ো টেলিফোন এক্সচেঞ্জের খোঁজ পেল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। উত্তর ২৪ পরগণা জুড়ে একাধিক জায়গায় এই ধরনের এক্সচেঞ্জ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেখানে হানা দিয়ে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজন বাংলাদেশি–সহ মোট ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোবাইলের প্রচুর সিম, সিমবক্স–সহ নানা প্রযুক্তি সামগ্রী।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ জাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কোথাও চলছে কি না সেটা নিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে টেলি–যোগাযোগ মন্ত্রক। এখন আন্তর্জাতিক কলকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন অফিসাররা। আর তাতেই অফিসারদের নজরে আসে, মধ্যপ্রাচ্য ও বাংলাদেশ থেকে কিছু কল ভারতে আসছে। এত কল কোথায় আসছে তার হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন তদন্তে নেমে বোঝা যায়, নিশ্চিতভাবেই কেউ বা কারা সিমবক্স পদ্ধতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কলকে জিএসএমে রূপান্তর করছে। তাই সেইসব কলের হদিশ মিলছে না। এইসব কলকে ঘোরাতেই তৈরি করা হয় জাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। তদন্তে নেমে অফিসাররা দেখেন, বারাসত, বাদুড়িয়া, বিধাননগর, দমদমে ছড়িয়ে রয়েছে এই কারবার। তখনই বিষয়টি জানানো হয় রাজ্য পুলিশের এসটিএফকে।

কী তথ্য পেল এসটিএফ?‌ এসটিএফ সূত্রে খবর, রীতিমতো বাড়ি ভাড়া করে জাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ খোলা হয়েছে বলে তদন্তে উঠে আসে। যা মনিটরিং করছে বাংলাদেশিরা। দুবাই, কাতার, কুয়েত, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ–সহ বিভিন্ন দেশ থেকে যে সব কল আসছে, তাকে সাধারণ কলে বদলে দেওয়া হচ্ছে। তার জেরে ভারত সরকারের বড় রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। তারপর জাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জগুলির ঠিকানা জোগাড় করা হয়। সেই ঠিকানা নিয়ে বুধবার রাতে বিধাননগর, দমদম, বারাসত, বাদুড়িয়া–সহ বিভিন্ন জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশি সহ ছ’জনকে। উদ্ধার হয় অনেকগুলি সিমবক্স এবং মোবাইলের সিম।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বাংলাদেশি নাগরিকরা বৈধ কাগজ ছাড়াই এদেশে এসেছে। আর উঠেছে বাদুড়িয়ার একটি বাড়িতে। তাদের বড় অংশের আত্মীয় ও পরিচিতরা মধ্যপ্রাচ্যে থাকে। তাই কম খরচে ফোনের ব্যবস্থা করে দিয়ে মোটা টাকা রোজগার করাটাই লক্ষ্য ছিল তাদের। তাই তারা ভুয়ো টেলিফোন এক্সচেঞ্জ খোলে। এই কারণে প্রচুর সিমবক্স কিনেছিল তারা। এমনকী ভুয়ো নথি দিয়ে জোগাড় করেছিল সিম। সফটওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে তারা বিদেশ থেকে আসা কল জিএসএমে বদলে দিচ্ছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে কল আসার একাধিক প্রমাণ পেয়েছে এসটিএফ। ধৃত তিন বাংলাদেশির সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।