Kuntal Ghosh: ‘‌অভিষেকের নাম কি বলেছে?‌’‌, ইডি অফিসারকে ফোন শুভেন্দুর, চিঠিতে দাবি কুন্তলের

সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষ বারবার অভিযোগ করেছেন, তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে অভিষেকের নাম বলার জন্য। আর এই চাপ দিচ্ছিন ইডির অফিসাররা বলে কুন্তলের অভিযোগ। এবার তিনি একটি বিস্ফোরক চিঠি লিখেছেন আদালতকে উদ্দেশ্য করে। ইডির জেরায় তাঁকে কেমন করে চাপ দিচ্ছে সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকী শুভেন্দু অধিকারী ইডি অফিসারকে ফোন করে অভিষেকের নাম কুন্তল বলেছে কিনা তাও জানতে চেয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কুন্তলের এই বিস্ফোরক দাবিতে এখন তোলপাড় অবস্থা তৈরি হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।

ঠিক কী লিখেছেন কুন্তল চিঠিতে?‌ আদালতকে কুন্তল যে চিঠি লিখেছেন সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর নাম উঠে এসেছে। কুন্তলের বাড়িতে যখন ইডি তল্লাশি চালাচ্ছিল তখন এক অফিসারকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর জানতে চাইছিলেন, কুন্তল তাঁদের জানিয়েছেন কিনা অভিষেকের নাম। এমনই বিস্ফোরক চিঠি লিখেছেন কুন্তল বলে সূত্রের খবর। কুন্তলের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে এই তদন্ত প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

আর কী উঠে এসেছে চিঠিতে?‌ কুন্তল ঘোষ যে চিঠি আদালতকে লিখেছেন তাতে একদিকে ইডি এবং অন্যদিকে শুভেন্দুকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। ওই চিঠিতে কুন্তল লিখেছেন, ইডির এক অফিসার তাঁকে একাধিকবার প্রশ্ন করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কত টাকা দিয়েছেন? কুন্তল চিঠিতে দাবি করেন, ‘‌ইডি অফিসারকে ফোন করে শুভেন্দু জানতে চেয়েছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম কি বলেছে কুন্তল?‌ ইডি অফিসাররা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আকা বলে ডাকেন। এটা শর্ট ফর্ম। তাই আমাকে বলা হয়, আকার নাম একবার বলে দিলেই তিন মাসের মধ্যে রাজসাক্ষী করে তোমাকে আমরা বাইরে বের করে দেব। আর না বললে স্ত্রীকে গ্রেফতার করার হুমকি দেওয়া হয়।’‌ এমনই চিঠি লিখেছেন কুন্তল বলে সূত্রের খবর।

ঠিক কে, কি বলছেন?‌ এই চিঠির বিষয়টি সামনে আনেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, ‘‌হেফাজতে থাকা অভিযুক্ত নিয়ম মেনে একটা অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সেটা সত্যি–মিথ্যে পরের প্রশ্ন। কিন্তু বিচারপতি সেটা না শুনে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। এতে বন্দিদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’‌ পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌অনেক ভাল যে অমিত শাহের নাম বলেনি। শুভেন্দুর নাম পর্যন্ত বলে থেমে গিয়েছেন। তদন্তকে প্রভাবিত করতেই আগে থেকে কুন্তলের চিঠির বয়ান সাজিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।’‌