প্রথমটা ভালো করে বুঝতে পারেননি স্ত্রী। বিছানায় পড়েছিল স্বামীর দেহ। নিম্নাঙ্গ একেবারে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। দেখেই আঁতকে ওঠেন স্ত্রী। তবে ভয়াবহতার এখানেই শেষ নয়। স্বামীর অণ্ডকোষে একটি সেফটি পিন ফোটানো ছিল। এরপর আর্তনাদ করে ওঠেন স্ত্রী। নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ঘটনা। এখন প্রশ্ন উঠছে স্বামী অণ্ডকোষে এভাবে সেফটিপিন এল কীভাবে?
তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ হয়তো তীব্র হতাশা, রাগ থেকে তিনি নিজেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তারপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃতের নাম মলয় বসাক।
বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে দিয়ে এসেছিলেন মলয়। ঘরে বিশেষ কেউ ছিলেন না। আর শুক্রবার বাবার বাড়ি থেকে ফিরে এসে মলয়ের স্ত্রী দেখলেন বিছানায় পড়ে রয়েছে স্বামীর দেহ। অণ্ডকোষে সেফটি পিন ফোটানা।
তবে স্থানীয়দের দাবি, আত্মহত্যার নানা ধরনের ঘটনা দেখা যায়। কিন্তু এভাবে অণ্ডকোষে সেফটি পিন ঢুকিয়ে নিজের মৃত্য়ুকে তরাণ্বিত করার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই মৃত্যুর পেছনে রয়েছে তীব্র দাম্পত্য কলহ। তার পরিণতিতেই এই ভয়াবহ ঘটনা।
আসলে মলয়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কিছুদিন ধরেই সাংসারিক অশান্তি চলছিল। মলয় টোটো চালিয়ে সংসার প্রতিপালন করেন। তাঁর বয়স চল্লিশের কোঠায়। মলয় তাঁর স্ত্রীকে নানাভাবে সন্দেহ করতেন। তাঁর মনে হত স্ত্রীর সঙ্গে হয়তো অন্য কারোর সম্পর্ক রয়েছে। তার জেরে তিনি মলয়কে বিশেষ পাত্তা দেন না। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। এরপর থেকেই মলয় তার স্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলতেন না। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে ঝগড়ার আওয়াজও পাওয়া যেত। তবে যত দিন যাচ্ছিল ব্যাপারটা অনেকের কাছেই গা সওয়া হয়ে যাচ্ছিল।
সমস্যা মেটাতে গ্রামে একবার সালিশি সভাও বসেছিল। এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে তিতিবিরক্ত হয়ে স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে রেখে আসেন মলয়। তবে শুক্রবার সন্ধ্য়াতেই ফের বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন মলয়ের স্ত্রী। আর তারপর ঘরের দরজা খুলতেই এই ভয়াবহ দৃশ্য়।