দক্ষিণ ভারতের আমের দাপট বাংলার বাজারে, মালদার আম কি এবার মিলবে না?

মালদার আমের জগৎজোড়া নাম। এককথায় বাংলায় গর্ব। সেই আমের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা বাংলা।আর সেই মালদাতেই এবার চেন্নাইয়ের আমের দাপট। এখানেই প্রশ্ন তবে কি এবার আর মালদার আম সেভাবে মিলবে না?

তবে বিষয়টি অতটা হতাশার নয়। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, আসলে মালদার আম বাজারে আসতে প্রতিবারই কিছুটা দেরি হয়। একেবারে গাছ পাকা আম আসতে এখনও কিছুটা দেরি রয়েছে। সেকারণেই সেই জায়গাটি দখল করেছে চেন্নাইয়ের আম। দক্ষিণ ভারত থেকে আসা আমই বাজার কাঁপাচ্ছে বাংলার বাজারে, মালদার বাজারেও। চেন্নাই থেকে এসেছে গোলাপখাস আম। সেই আমের দাম কেজি প্রতি ১২০ টাকা। অন্য়ান্য় আমও ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে আম চাষিরা এই দক্ষিণের আমের বাজারে আসা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগের মধ্যেই রয়েছেন। সেই আম যেভাবে দাপিয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সেক্ষেত্রে মালদার আম বাজারে এলে তা কতটা কদর পাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এদিকে উদ্যান পালন দফতর এবার দক্ষিণ ভারত থেকে ঠিক কত পরিমাণ আম বাজারে আসছে তা খেয়াল রাখছে।তাঁদের মতে, কেরলে সবার আগে আম পাকে। এরপর একে একে দক্ষিণ ভারতের অন্য়ান্য রাজ্যে আম পাকতে থাকে। সেখান থেকে আম বাংলার বাজার দখল করতে চায়। এই প্রবণতা ইদানিং দেখা যায়। তবে মালদার আম বাজারে আসার পরে সেই আমের কদরই আলাদা।

এদিকে মালদার আম বাজারে আসতে এখনও অনেকটাই দেরি রয়েছে। তার আগেই বাজারে এসে যাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের আম। সেই আমের সঙ্গে কি প্রতিযোগিতায় পারবে বাংলার আম?

তবে কৃষকদের মতে, মালদার আম বাজারে যখন আসবে তখন দক্ষিণ ভারতের আম বিশেষ পেরে উঠবেনা। কারণ দক্ষিণ ভারত থেকে আম নিয়ে আসার পরিবহণ খরচ রয়েছে। সেই খরচ সামলে আম বাজারজাত করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সেকারণে মালদার আমের বরাবরই কদর রয়েছে।

গতবার আমের ফলন বিশেষ হয়নি। তবে ২০২১ সালে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার মেট্রিক টন আমের ফলন হয়েছিল। এবার আমের ভালো ফলন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও এব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঝড় বৃষ্টি, পোকার আক্রমণ অনেকগুলি ফ্যাক্টর এক্ষেত্রে কাজ করছে। তবে একেবারে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। জামাইষষ্ঠীতে মালদার আম পেতে পারেন আম বাঙালি।