Poila Baishakh 1430: প্রভাতফেরি বেরোলো তাড়াতাড়ি, হালখাতা দেরি করে, এমন দাবদাহ পয়লা বৈশাখে বিরল:

পয়লা বৈশাখ মানে যে গরম থাকবে, এ কথা আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। খাতায় কলমে গ্রীষ্মও শুরু হয়ে গেল। কিন্তু তা বলে এত গরম! সেই মারাত্মক পরিস্থিতির কারণেই বদলে গেল পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা। শহর কলকাতা সাক্ষী থাকল ভয়ঙ্কর এক দাবদাহের। 

পয়লা বৈশাখের দিন শহরের নানা প্রান্তে প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। তাছাড়া এদিন বাঙালি ব্যবসায়ীদের কাছেও একটি বড় দিন। এই দিনে হয় হালখাতা পুজোও। সব মিলিয়ে অনুষ্ঠানে জমজমাট থাকে সারাটা দিন। তার সঙ্গে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখটিও পড়েছে শনিবার। ফলে সপ্তাহান্তের ছুটির পরিস্থিতি তৈরিই ছিল। কিন্তু তার পরেও ছুটির দিনটি জমল না। গরমের চোটে বাড়ি থেকে বেরোতেই পারলেন না অধিকাংশ কলকাতা-বাসী।

উত্তর কলকাতায় এদিন বেশ কিছু প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। তার মধ্যে লেক টাউ চত্বরের প্রভাতফেরির সূচনা প্রতি বছরই হয় সকাল ৯টার দিকে। সকলে যাতে ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুত হয়ে এই প্রভাতফেরিতে অংশ নিতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। কিন্তু এবার আর অত দেরি করা যায়নি। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সকলা ৯টায় খুব বেশি প্রয়োজন না থাকলে কেউ আর বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেনই না। প্রভাবফেরি তাই ৮টায় শুরু হয়ে ৯টার মধ্যে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। 

দক্ষিণ কলকাতার পাটুলি এলাকাতেও একই ছবি। সেখানে প্রভাতফেরি বেরোলো সকাল ৭টায়। অথচ অন্যান্য বছরগুলিতে প্রভাতফেরি রওনা দেয় আরও বেশ কিছুটা পরে। 

এর পরে হালখাতার অনুষ্ঠান। সারা দিন ধরেই হালখাতা পুজো হওয়ার কথা। কিন্তু গরমের ধাক্কা সামলাতে হালখাতা পুজোর সময়ও পিছিয়ে দেওয়া হল সন্ধ্যায়। দিনের বেলা গরমের ধাক্কায় পুজোয় করতে পারলেন না অধিকাংশ দোকানদার। সব মিলিয়ে বৈশাখের প্রথম দিনটিতেই মারাত্মক হাল কলকাতাবাসীর। তাই অনেক খানি থমকেই গেল নতুন বছরের প্রথম দিনের উদযাপন। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup