China-Russia military cooperation: চিন- রাশিয়ার মধ্যে আচমকা মধুর সম্পর্ক, সামরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে আলোচনা

সুতীর্থ পত্রনবীশ

গ্লোবাল ও আঞ্চলিক সুরক্ষাকে নিশ্চিত করার জন্য চিন আর রাশিয়া এবার পরস্পরের মধ্যে সামরিক সমণ্বয় বৃদ্ধি করার ব্য়াপারে আলোচনা করেছে বলে খবর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি সাংফু রবিবার মস্কোতে মিটিংয়ে বসেছিলেন। তারাই এনিয়ে আলোচনা করেছেন বলে খবর। সোমবার চিনের সরকারি মিডিয়াতে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।এদিকে একদিকে যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ঘটনা হচ্ছে তখনই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসল চিন।

তবে চিন অবশ্য রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা মানেনা কোনওদিন। তাদের মতে, আমেরিকা ও ন্যাটো নানাভাবে মস্কোকে প্ররোচিত করেছে।

এদিকে রবিবার তিনদিনের সফরে রাশিয়া গিয়েছেন লি। শোনা যাচ্ছে রাশিয়ার কাছে মারণাস্ত্র বেচবে চিন। তবে বেজিং বরাবরই যুদ্ধ সংক্রান্ত ব্যাপারে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ফেব্রুয়ারি শান্তি প্রস্তাবও দিয়েছিল চিন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাস্তবে মস্কোর একেবারে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হিসাবে নিজেদের হাজির করছে চিন। এমনকী মার্কিন নেতৃত্বে যে পাশ্চাত্যের শক্তি, তার বিরুদ্ধেও সমর্থন করছে চিন।

এদিকে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে আধুনিকীকরণ করার ক্ষেত্রে লির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তিনি একটা সময় চিনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ইকুইপমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ছিলেন। পুতিন লিকে বলেছিলেন রাশিয়া ও চিনের মধ্য়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সামরিক সমণ্বয়ের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই সামরিক শক্তি যৌথ প্রশিক্ষণ, পারস্পরিক পেশাগত অভিজ্ঞতাকে বিনিময় করা, সহ নানা ক্ষেত্রে পরস্পর সমণ্বয় রেখে কাজ করবে। দুদেশের মিলিটারি মিউচুয়াল ট্রাস্টকে রক্ষার জন্যও পারস্পরিক চেষ্টা থাকবে। পুতিনকে এমনটাই জানিয়েছিলেন লি। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া সূত্রে এমনটাই খবর।

দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমণ্বয় রক্ষার ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছে বলে খবর।লি জানিয়েছেন, আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়ার অফিসিয়াল নিউজ এজেন্সি TASS সূত্রে এমনটাই খবর।

অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে কথাবার্তা বলেছিলেন লি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দু দেশের নানা দিক নিয়ে তাঁদের মধ্য়ে আলোচনা হয়েছে।